বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৮৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবক'টি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে ঈদের পর লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

এ দিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

এর আগে দেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়লে ডিএসইর বাজার মূলধন এক লাখ কোটি টাকার ওপরে কমে যায়। তবে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে টানা চার কার্যদিবস শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকে। ফলে ঈদের পর শেয়ারবাজার ইতিবাচক ধারায় থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে আবার শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে প্রথম তিন কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেই দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান।

লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ পতন প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবক'টি মূল্যসূচকের বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ২৯টি প্রতিষ্ঠান। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৪২টি প্রতিষ্ঠানের। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৮৬ পয়েন্টে নেমে গেছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সবক'টি মূল্যসূচক কমার কমলেও ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫২২ কোটি ৫১ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮২ কোটি ৫৩ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

এই লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেস্ট হোল্ডিংয়ের ৩৩ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোল্ডেন সন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, ফু-ওয়াং ফুড, প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফু-ওয়াং সিরামিকস এবং মালেক স্পিনিং।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২১৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৭টির এবং ১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে