সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

দর্শনার্থীদের ভিড়ে ঠাসা রানীগঞ্জ সেতু এলাকা

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০১
ছবি যাযাদি

ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ভাটি বাংলার পদ্মা সেতু রানীগঞ্জ সেতু। সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে এসেছেন। এসব মানুষ ঈদের আনন্দে ঘুরতে এসেছেন রানীগঞ্জ সেতুতে। ঈদের দিনে দুপুরে পর থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ঈদ উৎসবে মেতে উঠেছে এই সেতুতে।

পর্যটকদের জন্য বড় একটি আকর্ষণ সেতুটি কুশিয়ারা নদীর উপর থাকায় সেতু থেকে নদীর অপরুপ দৃশ্য সবার নজর কারে। দৃষ্টিনন্দন স্থান হওয়ায় সেতুটিতে উৎসবে আনন্দ করতে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসেন। কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টি মেঘলা আবহাওয়া উপেক্ষা করে এখনও চলছে হাজার হাজার মানুষের ঢল। ঈদের দিন থেকেই আমন্ত্রণ-নিমন্ত্রণ পর্ব চলছে। একইসঙ্গে চলছে ঘুরে বেড়ানো। এই উপজেলায় খোলা জায়গা, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদ উদযাপনের সঙ্গী হয়েছে এই সেতুটি। দেখে মনেই হয় না এ শহরে কোনো দুঃখ আছে। এ যেন আনন্দ নগরী। এ উৎসব যেন ফুরোবার নয়। উৎসবের রঙটা মূলত ছড়িয়ে দিচ্ছে শিশু-কিশোররা, নতুন বিয়ে করা পরিবারগুলো। ঈদের দিন থেকেই নারী- শিশুসহ দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভিড় দেখা গেছে।

রাতের নয়নাভিরাম রানীগঞ্জ সেতু, মুগ্ধ করে সবাইকে। ঈদের ছুটিতে সকাল বিকেল ও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। পরিবার ও বন্ধু বান্ধবসহ ঘুরতে আসছেন অনেকে। দৃষ্টি নন্দন স্বপ্নের সেতুর সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলছেন দর্শনার্থীরা। সিলেট এর কাজির বাজারের সেতুকে ফেইল দিচ্ছে এই সেতু। সেতু কেন্দ্রিক আগত নারী-শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার জন্য দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

সুনামগঞ্জ থেকে স্ব-পরিবার আসা দর্শনার্থী ফয়ছল আহমদ জানান, আমি রানীগঞ্জ সেতু উদ্ধোধনের সময় আসতে পারিনি। তাই ঈদ উপলক্ষে এখানে এসে ভাটি বাংলার পদ্মা সেতু রানীগঞ্জ সেতু দেখতে পেয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। জগন্নাথপুরের ওয়ালটন শোরুমের মালিক জামাল উদ্দিন বেলাল জানান, এখানে এসে জনসাধারন দেখে খুবই ভালো লাগছে। নদীর পাড়ের বসার ব্যবস্থা থাকলে আরো ভালো হত। এ সেতু দেখতে এখানে বাহিরের অঞ্চলের অনেক লোক এসেছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় এ ঈদের জনসাধারন বেশি আসছেন। এত লোকজন সেতু উদ্বোধনের সময় হয় নাই।

সেতুতে দায়িত্বে থাকা জগন্নাথপুর থানার এসআই অলক দাশ, এসআই ওবায়দুল্লা জানান, সিলেট বিভাগের সব থেকে বড় সেতু হওয়ায় একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র হয়েছে সেতু। ঈদের দিন থেকে হাজার হাজার মানুষকে সামাল দিতে হচ্ছে। অনেক কম বয়সের বাইকার উপচে পড়া পর্যটকদের মধ্যে সীমা লঙ্ঘণ করে আসার চেষ্টা করছেন, তাদের প্রতিহত করতে আমরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করছি। তবে এসব মানুষের উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে