শরৎ উৎসব ঘিরে শান্ত-স্নিগ্ধ কাশফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য-সৌরভের যুগপৎ ধারা যেন নেমে এসেছিল মঞ্চে! শরৎ-সন্ধ্যায় প্রাণে-প্রাণ মিলিয়ে যেখানে সজীব বৃক্ষ আর শেফালি ফুলের মদির গন্ধভরা মিষ্টি হাওয়া কিংবা পাখির কূজনে প্রিয় স্বদেশ খুঁজে ফিরেছেন কক্সবাজারের নবীন-প্রবীণ সাহিত্য অনুরাগী ও সংস্কৃতিসেবীরা।
জেলার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘শরৎ উৎসব’ ঘিরে বুধবার রাতে মঞ্চে তৈরি হয়েছিল এমন আবহ। পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে খেলাঘরের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি জুড়ে ছিল গান, কবিতা, নৃত্য ও কথামালা। রাত সাড়ে ৯টার আগ পর্যন্ত চলমান অনুষ্ঠানে কেবল শরৎই উপস্থাপিত হয়েছে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক বন্দনায়।
অনুষ্ঠানে কথামালার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও মন্ত্রিপরিষদের সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর প্রকৃতির শহর কক্সবাজার। সমুদ্র, পাহাড়, ঝরনা, দ্বীপ মিলেই সৌন্দর্যের এই পর্যটন শহরে শরৎ উৎসব যেন এক ভিন্নতর আবহ তৈরি করেছে।’
ব্যক্তিগত জীবনে ৬২ দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমি আর কোথাও দেখিনি। এই সৌন্দর্যের শহরকে আরও আধুনিক করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলাজুড়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।’ উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে এ সময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেম ও আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে থাকার আহ্বান জানান।
কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. নজিবুল ইসলামের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
উৎসব উদ্বোধন করেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।
জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত, নাট্য নির্দেশক অধ্যাপক স্বপন ভট্টাচার্য, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, জেলা খেলাঘরের সভাপতি সুনীমল পাল পান্না, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন।
যাযাদি/ এস