বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

​​​​​​​মান্দায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে  খড়ের ছাউনির ঘর

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  ০৪ এপ্রিল ২০২২, ১৭:২০
​​​​​​​মান্দায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্তির পথে  খড়ের ছাউনির ঘর

নওগাঁর মান্দায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর আজ বিলুপ্তির পথে এক সময় দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে সেই চিরচেনা খড়ের ছাউনির ঘরের প্রচলন ছিল কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে

আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে খড়ের তৈরি ঘর বিলুপ্তির পথে বললেই চলে খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যেখানে প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে -৪টি ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত কিন্তু বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়ন মিলেও সেই সময়ের খড়ের তৈরি ঘর তেমনটা আর চোখে পড়েনা

বর্তমানে টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত হচ্ছে তবে নওগাঁর মান্দা উপজেলার গ্রামগঞ্জে মাঝে মাঝে /১টি খড়ের ছাউনির ঘর দেখা যায়

ভালাইন ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় অধিকাংশ বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল গ্রাম-গঞ্জের অধিকাংশ মানুষ খড় দিয়ে ঘরের ছাউনি দিতগরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে গরম, তাই তারা এই ঘরকে এসি ঘর বলে উচ্চবিত্তরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন অথবা টিন ব্যবহার করতো

সরেজমিনে দেখাগেছে,যে, মান্দা উপজেলার নং ভালাইন ইউনিয়নের বৈলশিং গ্রামে বছর খানেক আগেও তাদের এলাকায় অনেকের বাড়ীতে খড়ের ছাউনি ছিল আধুনিকতার ছোঁয়ায এখন আর নেই কিছুদিন আগে খড়ের ছাউনি ফেলে টিনের ছাউনি দেন তারা শীত গরমে উভয় দিনে ছনের ছাউনির ঘর বেশ আরামদায়ক এছাড়াও বছর বছর খড় পরিবর্তন করতে হয় কারণে অনেকে খড়ের ঘরকে ঝামেলা মনে করেনএকারণে খড়ের ছাউনির ঘরের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে

মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের উন্নয়ন সাধিত হয়েছেআর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে তবে আবার কেউবা পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে - টি খড়ের ছাউনির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে