সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি চাষে লাভের বদলে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। হঠাৎ চিংড়ির বাজারদর নেমে আসায় চরম হতাশায় ভুগছেন চাষিরা। এ পরিস্থিতিতে চিংড়ি খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও অন্যান্য ব্যায় বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটের চিতলমারীতে এটি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা। এলাকার চিংড়ি চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিকূল অবহাওয়ার সাথে সংগ্রাম করে এখানকার চাষিরা দীর্ঘ বছর ধরে চিংড়ি চাষ করে আসছেন। অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টিসহ নানা ধরণের রোগ-বালাইয়ে ঘেরের চিংড়ি মারা যাওয়ার পাশাপাশি বিষ দিয়ে এক শ্রেণীর চোরচক্র চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। এমন নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে চাষিরা চিংড়ি চাষ করলেও তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না বলে দাবি তাদের।
চলতি বছরে উপজেলায় মোট ৪৭ হাজার ৩ শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে বাগদা ও গলদা চাষ হয়েছে। মোট ঘেরের সংখ্যা ১৬ হাজার ৭শ’১০টি।
এ বিষয়ে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের চিংড়ি চাষি সাধন বৈরাগী, পাড়ডুমুরিয়া গ্রামের উত্তম বিশ্বাস, মানিক মণ্ডলসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর চিংড়ি কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ শ’টাকা দাম কমেছে অথচ চিংিড়ি খাদ্য এখন দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। এক শ্রেণীর অসাধু মধ্যস্বত্বভোগীর কারসাজীর কারণে চিংড়িচাষিরা সঠিক দাম পাচ্ছে না বলে দাবি তাদের। এমন পরিস্থিতিতে এ চাষিরা আসল চালান ঘরে তুলতে পারবেন কি না সে বিষয়ে চিন্তিত।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনয়ির মৎস্য অফিসার শেখ আসাদুল্লা জানান, বছরের এই সময়টায় চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাজারদর একটু কমে আসে তবে ব্যবসায়ীদের কারসাজীর মাধ্যমে যদি দর কমানো হয় তাহলে চাষিরা যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সে ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।