দাফনের ২০ বছর পরেও কাফনের কাপড় সহ অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেল মরদেহ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাবিলপুর গ্রামের সুফি সাহেব হুজুরের মাজার সংলগ্ন এলাকায় ব্রিজের কাজের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে এ মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
এ খবরটি মুহুুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ লোকমুখে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে লাশটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নারী -পুরুষ ওই স্থানে ভিড় জমান । ২০ বছরের পুরোনো অক্ষত লাশ দেখে এটিকে একটি অলোকিক ঘটনা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
কাবিলপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি লোকমান মিয়া (৭৫) লাশটি কাবিলপুর গ্রামের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ (বুজুর্গ) সুফি সাহেব হুজুরের ভাতিজা সফি উল্লাহ’র বলে ধারণা করেন। তার দাবী, সফি উল্লাহ চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলে চাকুরী করতেন। ৬৫ বছর বয়সে ২০০২ সালে তিনি মারা যান। সফি উল্লাহ ছিলেন ৫ ওয়াক্ত নামাজী ও একজন সৎ মানুষ।
সফি উল্লাহ ছেলে মহিন উদ্দিন (২৫) বলেন, তার পিতা সফি উল্লাহ একজন সৎ ও ইমানদার ব্যক্তি ছিলেন। মৃত্যুর পর তাকে ওই স্থানে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার বিকালে সেনবাগের কুতুবেরহাট লেমুয়া সড়কের পুনঃসংস্কার ও নতুন ব্রিজ নির্মান করার জন্য পশ্চিম কাবিলপুর সুফি সাহেবের মাজার সংলগ্ন স্থানে বেকু মেশিন দিয়ে খাল থেকে মাটি খুঁড়ে তুলে নেওয়া হয়। এ সময় মাটি সরে যাওয়ার কারনে তার পিতার কাফনসহ লাশটি অক্ষত অবস্থায় একাংশ বের হয়ে যায়। এর পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে লাশটি স্থানান্তর নিয়ে চরম জটিলতা দেখা দেয়,সফি উল্লার ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা চাচ্ছেন লাশটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে একই কবর স্থানে পূন:কবরস্থ করার জন্য। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা-পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে এলাকাবসীদের সঙ্গে আলোচনা করে একই কবরস্থানের বিকল্প জায়গায় লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করেন। রাত ৯টার দিকে লাশটি ওই কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা। স্থানীয় ইউপি মেম্বার তপন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী রাতে জানান, এলাকাবাসি থেকে খবরটি পাওয়ার পর পরই তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। লাশটি পূনরায় কবর দেওয়া হয়েছে বলে ও তিনি জানান।
যাযাদি/সাইফুল