রাজধানীর পল্লবী থানার দুই পুলিশ সদস্য, সোর্স ও পল্লবী থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ সভাপতি আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এই ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গত ১৮ আগস্ট দুপুরে তার স্বামী বাবুকে আটক করে পল্লবী থানা পুলিশ। এরপর স্বামীকে দেখতে থানায় যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পর ওই গৃহবধুর সৎ মা জানান তাকে পল্লবী থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ সভাপতি আমান উল্লাহ আমান ডেকেছেন। সেখানে ওই গৃহবধূকে নিয়ে যান তার সৎ মা । আমানের বাসা পল্লবীর সিরামিক রোড, টেকের বাড়ী বস্তিতে। তার বাসায় যাওয়ার পর আমান ও পুলিশের সোর্স ইয়াকুব ওই গৃবধূকে জোর করে একটি রুমে নিয়ে যান। পরে নেতা আমান, পুলিশের সোর্স ইয়াকুব ও পুলিশের দুই সদস্য ভয়ভীতি ও পিস্তল দেখিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে। পরে রাত তিনটায় কাউকে বিষয়টি জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়।
তিনি বলেন, তারা রাত ১২ টা থেকে তিনটা পর্যন্ত আমার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে এ ঘটনা কাউকে বললে বা থানা পুলিশ করলে আমাকে ও আমার স্বামীকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে পল্লবী থানায় মামলা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার মামলা নেয়া হয়নি। আমার স্বামীবাবু জেল থেকে মুক্ত হয়ে বাসায় আসলে সব কিছু খুলে বলি। পরে ঢাকার আদালতে মামলা করেছি।
মামলার এজাহারে, পল্লবী থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সহ সভাপতি আমান উল্লাহকে ১ নম্বর, সোর্সকে ২ নম্বর ও ওই তরুণীর সৎ মা রিনা বেগমকে তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই পুলিশ সদস্যকে ওই নারী দেখলে চিনবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
তবে মামলা বা অভিযোগের বিষয়ে কিছু জানেননা বলে জানিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি। তিনি বলেন, পল্লবীতে বস্তিসহ বিভিন্ন মাদকের স্পট রয়েছে। অনেক সময় মাদক ব্যাবসায়িরা এধরনের নানান অভিযোগ করে নিজেরা বাচার জন্য বা পুলিশকে ফাঁসাতে চায়। তবুও যদি এ ধরনের অভিযোগ পাই বা মামলার কাগজ আমাদের কাছে আসে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
যাযাদি/ এম