শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লা-১ আসনে লড়াই হবে নৌকা-লাঙ্গল-ঈগলের

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৯
কুমিল্লা-১ আসনে লড়াই হবে নৌকা-লাঙ্গল-ঈগলের

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-তিতাস) আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রচার-প্রচারণা শেষে প্রার্থীরা তাদের এজেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রার্থীদের ভোটার তালিকা, ভোটার স্লিপসহ আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম শেষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হুমকি-ধমকি, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আর ভ্রাম্যমান আদালতে সরব ছিল নির্বাচনী প্রচারের দিনগুলো।

দাউদকান্দি উপজেলার একটি পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন ও তিতাস উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-১ আসন। নতুন রূপে গঠিত হওয়া এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯ জন। যার মধ্যে তিতাসের ভোটার সংখ্যা ১লাখ ৬২ হাজার ৭৪০জন।

এ আসনে মোট ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী কুমিল্লা (উত্তর) জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাঈম হাসান। মূলত এই তিনজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে জাসদের বড়–য়া মনোজিত ধীমন (মশাল), তৃণমূল বিএনপির সুুলতান জিসান উদ্দিন (সোনালী আঁশ), ইসলামি ঐক্যজোটের মাওলানা নাছির উদ্দিন (মিনার), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (ছড়ি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মো. জাকির হোসেন (ফুলের মালা)।

২০০৪ সালে দাউদকান্দি থেকে ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে তিতাস উপজেলার প্রতিষ্ঠা হয়। ২০০৮ সালে সংসদীয় সীমানা পুনঃবিন্যাসের কারণে তিতাস উপজেলা হোমনা সাথে একত্রিত হয়ে কুমিল্লা-২ আসন গঠিত হয়। সেই থেকে তিতাসবাসী হোমনা সাথে মিলে ৩টি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ ১৫ বছর রাজনীতি মাঠে দাউদকান্দিবাসীর সাথে কোন সম্পর্ক ছিল না তিতাসবাসীর। গত বছরের পহেলা জুন দাউদকান্দির সাথে তিতাসকে একত্রিত করে কুমিল্লা-১ আসন পুনঃগঠন করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায় তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থীর পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেছে। পাড়া-মহল্লা, হাটবাজারে চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী হিসাব-নিকাষ। ভোট দেয়া-নেয়া নিয়ে চলছে শান্ত বির্তক। নির্বাচনের দিনে বৈরী আবহাওয়ার বিষয়টি নিয়েও অনেকে চিহ্নিত। গত ৩/৪ দিন যাবৎ দুপুরে ১২টার আগে সূর্য্যরে দেখা মিলছে না। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শরীরে জানান দিয়ে যাচ্ছে শীতের দাপট। দিনের মধ্যভাগে ১/২ ঘন্টা সূর্যের দেখা মিললেও বিকাল গড়িয়ে আসলে শুরু হয় কুয়াশার দাপট। এহেন অবস্থায় ভোটারদের মধ্যে কিছুটা সংশয় কাজ করছে।

এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে রয়েছে চরম মতবিরোধ। এরই মধ্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের দুই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে মাঠে প্রচারনা চালিয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের হিসাবটা ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিতাসে জাতীয় পার্টির শক্ত অবস্থান রয়েছে। নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দাউদকান্দির হলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী তিতাসের বাসিন্দা। সেই ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির তিতাসে উল্লেখযোগ্য ভোট পেতে পারে বলে অনেকে মত প্রকাশ করেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে