নানিয়ারচর উপজেলার হাতিমারা গ্রামের বাসিন্দা প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিব শতবর্ষের ঘর পায়নি প্রতিবন্ধী রবিসেন চাকমা। তাই স্ত্রী সন্তান নিয়ে শীতের মধ্যে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ঘুরেও একটি ঘর না পেয়ে একদিকে যেমন রয়েছেন চরম হতাশায়, অন্যদিকে শীত আর শিশিরের সাথে যুদ্ধ করে জীবন কাটছে ওই পরিবারের।
সরেজমিনে উপজেলার বুড়িঘাটের হাতিমা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি মাটির ঘরে রবিসেন চাকমার বসবাস। শারীরিক প্রতিবন্ধী রবিসেন চাকমা। এছাড়া কানেও কম শোনেন তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় হালকা ধরনের কাজ করতে পারেন।
এলাকার মানুষের দেওয়া ২ শতকের মতো ভিটেয় বসবাস তাদের। অন্যের জমি ছাড়া চাষাবাদ যোগ্য কোন জমি নেই তার। মাটির ঘরটি এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরেছে।
এ ব্যাপারে এলাকার প্রতিবেশি বসন্ত চাকমা জানান, রবিসেনের ঘরের চাল দিয়ে শিশির পরে।সে ও তার পরিবার কোন রকম কাথা মুড়ি দিয়ে থাকে। আমাদের এলাকার গন্যমান্যকে অনেকদিন জানাইছি। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয় না।
রবিসেন চাকমা জানান,ঘরের চাল অধিকাংশই ফুটা। অন্ধকার ঘরটির মধ্যে ফুটা দিয়ে সুর্যের আলো অনায়াসে প্রবেশ করছে। তেমনি ওই সমস্ত ফুটো দিয়ে প্রবেশ করছে হিমেল হাওয়াও।
এলাকায় কেউ দিলে খাই, আমার কিছু নাই। নিয়মিত কাজ পাই না। স্ত্রী ছেলে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে আমার জীবন কাটে। আমি খুব অসহায়। আমি অনেক কষ্টে আছি।
এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা জানান, সরকার বর্তমানে যাদের জমি নাই তাদের জমিসহ ঘর দিচ্ছে। যাদের ভিটা আছে ঘর নাই তাদেরও ঘর দেয়া হবে। খোঁজে নিয়ে ওই প্রতিবন্ধী যাতে ঘর পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া অত্র মেম্বার কে অবগত করে দিচ্ছি একটা প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিতে।
যাযাদি/ এম