ভোলার মেঘনা নদীতে বাবা-ছেলেকে নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় বাবা আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে রোববার দুপুরে মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্ট থেকে কোষ্টগার্ড আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহটি উদ্ধার করে।
ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে জেলেরা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে অবগত করে।
এরপর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহটি তাঁর পরিবার শনাক্ত করেছে। ঘটনার ৯ দিন পর তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙ্গারি মালামালসহ সাতজন শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে দু'জন বাবা-ছেলে। ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় পাঁচজন শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় উপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তাঁর ছেলে পারভেজ সরদার ইঞ্জিনরুমে থাকায় তাঁরা বেরোতে পারেনি।
কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সাত শ্রমিক বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে কোষ্টগার্ড ও ফায়ারসার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ এর যৌথ ডুবুরি টিম উদ্ধার অভিযানে ট্রলারটি উদ্ধার করা গেলেও বাবা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।
যাযাদি/ এম