রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

খুলনার ডুমুরিয়ার থানায় সেই তরুণীর দাবি ‘তাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি’

খুলনা অফিস
  ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৭
খুলনার ডুমুরিয়ার থানায় সেই তরুণীর দাবি ‘তাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি’

খুলনা জেলা ডুমুরিয়া উপজেলা সেই ধর্ষণ ও অপহরণের শিকারের অভিযোগকারী সেই তরুণী একদিন পর সুর পাল্টে বললেন ভিন্ন কথা।

রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১১টায় সোনাডাঙ্গা থানায় নিজেই হাজির হয়ে দাবি করেন, তাঁকে ধর্ষণ কিংবা অপহরণ করা হয়নি। এর আগের দিন ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন ওই তরুণী।

সে সময় তিনি দাবি করেন, বিয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়ে দীর্ঘদিন তাঁর সাথে মেলামেশা করেছেন গাজী এজাজ আহমেদ। বিয়ের জন্য চাপ দিলে শনিবার রাতে ফোন করে ডেকে নিয়ে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তাঁকে আবারও ধর্ষণ করেন। খুমেক হাসপাতালের ওসিসি’র সামনে থেকে অপহরণও করা হয় তাদের। তবে রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই তরুণী ও তাঁর মা একটি মাইক্রোবাসে করে সোনাডাঙ্গা থানায় হাজির হন। এরপর পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ১২টার দিকে ওই মাইক্রোবাসে করেই বাড়িতে যান তরুণী।

পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তরুণী। এ সময় তিনি দাবি করেন, ধর্ষণের শিকার হননি তিনি। তাঁকে তাঁর ভাই এবং সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করেছিলেন। রোববার বিকেলে সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি গাড়িতে নিজেই রওনা দেন এবং যশোরের কেশবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ তাদের খবর দেয়ায় তারা থানায় এসেছেন। কেন ওই দু’জন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দেননি। নিজে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দাবি করে অতিরিক্ত প্রশ্ন করলে ‘পাগল’ হয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন।

এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম যায়যাযদিনকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ তাঁকে ধর্ষণ করেননি। এ ছাড়া খুমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে কেউ অপহরণও করেনি। নিজেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।তিনি আরও জানান, অপহরণের অভিযোগে আটক করা এজাজের চাচাতো ভাই গাজী তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধেও ওই তরুণীর কোনো অভিযোগ নেই। সে কারণে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকে তরুণীর ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ। অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজও লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে