নোয়াখালীর সদর উপজেলায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী আরো এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) সকালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ফাহিমুল হক তুহিন(২২) সদর উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের সায়দুলহক মেম্বারের বাড়ির রেজাউল হক বাবুলের ছেলে।নোয়াখালী সরকারি কলেজের বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল সে।
এর আগে এ দুর্ঘটনায় একই গ্রামের গুনবলির বাড়ির আব্দুল মান্নানের ছেলে আরিফ হোসেন (২৪) নিহত হয়। ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শিক্ষানবীশ চিকিৎসা সহকারী ছিলেন আরিফ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে গত শনিবার রাতে তুহিন ও আরিফ দুই বন্ধু মোটরসাইকেলযোগে তুহিনের জন্য ওষুধ কিনতে সোনাপুর বাজারে যাচ্ছিল।
এ সময় সোনাপুর-চেয়ারম্যান ঘাট সড়কের ডাক্তার বাজারে একটি পণ্য নামানোর জন্য সড়কে দাঁড়িয়েছিল। দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটির আকষ্মিক ট্রাকটির পেছনে সজোরে ধাক্কা লাগে। মুহুর্তের মধ্যে আরিফ ও তুহিন মোটরসাইকেল থেকে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন। আশংকাজন অবস্থায় তুহিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তুহিনের ফুফাতো ভাই মনিরুজ্জামান মনির জানান, দুর্ঘটনার পর নোয়াখালী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় তুহিনকে। আজ ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের বড় সন্তান ফাহিমুল হক তুহিন লেখাপড়ার পাশাপাশি ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সাহেবের হাট বাজারে কিছু দিন আগে একটি কম্পিউটার দোকান চালু করেন। তার এমন অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাদ জোহর জানাজা নামজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তুহিনের দাফন সম্পন্ন হয়।
যাযাদি/ এম