বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পরশুরামে শিশু হত্যা পরিকল্পনায় মা দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে 

পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭
পরশুরামে শিশু হত্যা পরিকল্পনায় মা দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে 

পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়া (৭) হত্যাকাণ্ডে পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা আয়েশাকে দ্বিতীয় দফা দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ জানায়, বুধবার (১৪ফেব্রুয়ারি) লামিয়া হত্যা ঘটনায় মা আয়েশাকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে আবারো সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে গত রোববার আয়েশাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরশুরাম থানার পুলিশ তিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বুধবার (১৪ফেব্রুয়ারি) আাদালতে সপোর্দ করেন।

অপরদিকে ঘটনার নয়দিন পরও হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যা পরিকল্পনায় মা প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে পরিকল্পনা কারি হিসাবে স্বীকার উক্তি দিলেও লামিয়ার মূল হত্যাকারীকে এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এবং এই ঘটনা এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

ফেনী জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী তারেক আজিজ বলেন, পরশুরামে চাঞ্চল্যকর লামিয়া হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মা আয়েশাকে দ্বিতীয় দফা দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিহত লামিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে পরশুরাম থানায় হত্যা মামলা করার পর রাতেই লামিয়ার মা আয়েশা বেগম ও সৎমা রেহানা আক্তারকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৎমা রেহানাকে বাদীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, লামিয়া হত্যার ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পুলিশ হত্যার মুল রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

ওসি এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশার পরিকল্পনায় এ ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনার কথা আয়েশা স্বীকার করেছেন। হত্যার মূল কারণ উদঘাটন করতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ঘটনার একমাত্র প্রত্যাক্ষদর্শী নিহত লামিয়ার বড়বোন বারো বছর বয়সী নিহার দেয়া তথ্যে মতে হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই যুবককে এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

পরশুরাম পৌর এলাকার বাঁশপদুয়া গ্রামে গত মঙ্গলবার (৬ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হেলমেট পরা দুই যুবক মো. নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয়ে দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তাঁর শিশু সন্তান লামিয়া দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরে ঢুকে শিশু লামিয়াকে হাত-মুখ-পা কসটেপ দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। একই সময় বড়বোন পাশের কক্ষ ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে পরিবার দাবি করছেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নিহা বর্তমানে তাঁর সৎ মা রেহানা ও বাবা নুরুন্নবীর সাথে রয়েছেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে