কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার পর চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক সুজন দত্ত মামলা করেন।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি চান্দিনা উপজেলার বরকইট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শ্রীমন্তপুর এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে আবুল হাসেম (৫৫)।সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মো. এনামুল হক নামের ওই মামলায় আসামি করা হয়, শ্রীমন্তপুর এলাকার মোঃ এনামুল হক (৩৫), মোঃ খলিল (২২), মোঃ রুবেল (২৫), মোঃ নোমান (২৪), মোঃ লিটন (২২), তাজুল ইসলাম (৫০), সহিদুল ইসলাম (৫২), মুজা মিয়া প্র. মোজাম্মেল (১৯), রুবেল (৩০), মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৭), আনোয়ার হোসেন (২০), মোঃ সুমন (২৫), মোঃ রফিক (৪৫), মোঃ ইব্রাহিম (২৪), সেলিনা বেগম (৩৩), ১৭। জাহানারা বেগম (৪৮), মোঃ ইব্রাহিম (২৪), বিল্লাল (২৮), ফাতেমা বেগম প্র. ফতু (৪৪), শাহজাহান (৩৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি মো. এনামুল হক নামের এক ব্যক্তির বসত বাড়িতে পুলিশী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মো. এনামুল হককে গ্রেফতার করার সময় স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেমের নেতৃত্বে স্থানীয় ৩০/৪০ জন আসামী দা, ছেনি, রাম দা, বটি দা, শাবল সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় মো. খলিল নামের একজন তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে চান্দিনা থানার এসআই নোমান হোসেনের মাথায় আঘাত করে। এসময় মো. এনামুল হক তার হাতে থাকা গাছের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এসআই নোমান হোসেনের মাথায় আঘাত করে আহত করে।

মটর ওয়ার্কসপ মেকানিক ইউনিয়ন গোলাপগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার নেতৃত্বে ফরিদ ও সুমন

এছাড়াও এলোপাতাড়ি আঘাতে আহত করে এসআই নোমানকে। এবং তার সঙ্গে থানা সিএনজি ড্রাইভারকেও আঘাত করে তারা।

চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক সুজন দত্ত বলেন, পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক আসামিকে ধরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলমান।

যাযাদি/ এস