বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের উপর দাগনভূইয়া পৌরসভার ময়লার স্তুপ

দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ 
ফেনী  ও দাগনভুইয়া  প্রতিনিধি
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৪
আপডেট  : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৬
ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের উপর দাগনভূইয়া পৌরসভার ময়লার স্তুপ

ফেনী নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর দাগনভূইয়া পৌরসভার ময়লার স্তুপ, দুর্গন্ধের জনজীবন অতিষ্ঠ। পরিবেশবিধ ও সুশীল সমাজের লোকজন কোথায়, যেন দেখার কি কেউ নেই?

দাগনভূইয়া পৌরসভার একমাত্র বাজার দাগনভূইয়া বাজার, বাজারের ময়লার ভাগাড়ের কারনে সৃষ্টি হচ্ছে দুগর্ন্ধ। এতে করে দোকানী, ক্রেতা, পথচারী, স্কুল কলেজের সহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ নাকালে পড়েছে।

এর মধ্যে বেড়েছে মশা, মাছির উপদ্রব। পৌরবাসীর মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গুর ঝুকি। ময়লা আবর্জনার স্তূপে ইতিমধ্যে মহাসড়ক ও মহা সড়কের পাশে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। আশে পাশের বসবাস কারী লোকজন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এবং অনেক গুলো কৃষি জমি আবাদি করা যাচ্ছে না। দাগনভুইয়া পৌর সভার বাসা বাড়ি দোকানের ময়লা আবর্জনা ড্রামপিং করার নিদিষ্ট জায়গা না পাওয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা ড্রামপিং করায় দুর্গন্ধের কারণে লোকজন প্রতিবাদ করে ও কোন ফল মিলছেনা। বর্তমানে ময়লার ড্রাম্পিং করেছে পল্লী বিদ্যুৎ এর অফিস সংলগ্ন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। সেখানে পৌরসভার ময়লার কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে খাল। ময়লার গন্ধে আশেপাশের মানুষের বসবাস করতে কষ্ট হচ্ছে। মহাসড়কে ময়লা ও আবর্জনা ফেলা, মহাসড়ক আইন ২০২১ এর ধারা ৯(১৬) ও ১৪(১০) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০ এর ধারা ৬ (গ) ১৫ (১)(৬) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দাগনভূইয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে যে ময়লার স্তুপ পড়ে আছে, তার পাশে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাড়ির মালিক জানান, ময়লার দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যায় না। মশা মাছির উপদ্রব বেড়ে গেছে। আমি অসুস্থ মানুষ ময়লার গন্ধে শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেছে। আমরা পৌরসভার মেয়রের কাছে অনেক অনুরোধ করেছি এখানে ময়লা না ফেলতে। তবু্ ও পৌর কতৃপক্ষ ময়লা ফেলছে। আতাতুর্ক স্কুল মার্কেটের ব্যবসায়িরা জানান, পৌরকর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে যাহা হবার তাই হচ্ছে। আমরা সরকারি দলের লোক হয়ে কথা বলতে পারি না। এই জন্য এর কোন প্রতিকার ও হচ্ছেনা।

দাগনভূইযা পুরাতন থানার সামনে ময়লার স্তুপের দূরগন্ধে ব্যাবসায়ীরা দোকান খুলে বসতে কষ্ট হয়। অথচ এর পাশেই দাগনভূইয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। দাগনভূইয়া সবজি ও মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারের প্রবেশ মুখে ময়লার পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। ময়লার জন্য আমাদের কষ্ট হচ্ছে, দীর্ঘ দিন ময়লা গুলো সরানো হচ্ছে না। ময়লার জন্য মশা মাছির উপদ্রুব বেড়ে গেছে। পৌরসভাকে বার বার অবহিত করলেও তারা ময়লা গুলো সরাচ্ছেনা। আমাদের ব্যবসায়িক কাষ্টমার কমে গেছে।

স্থানীয় কৃষক আলমগীর মিয়া জানান, কৃষির স্বার্থে এখান থেকে ময়লা সরানো উচিত। কারণ ময়লার কারণে খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সামনের বর্ষার আগে না সরানো হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হলে কৃষি ধংস হয়ে যাবে। তাই ময়লার স্তুপ অতি দ্রুত অপসারণ করা দরকার।

গণমাধ্যম কর্মী শহিদুল ইসলাম ইমরান বলেন, এভাবে ময়লা রাখার সড়ক আইন, পরিবেশ আইন, স্বাস্থ্য আইন সহ সকল আইনের লংঘন।

দাগনভূইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ময়লার দূরগন্ধের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি,ডেঙ্গু, কলেরা, শ্বাসকষ্ট ও বিভিন্ন চর্মরোগ জনিত অন্যান্য উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। আর এই সময় ময়লা আর্বজনা থেকে ডেঙ্গুর বিস্তার হওয়ার সম্বাবনা বেশী থাকে।

ইতিমধ্যে দাগনভূইয়াতে অনেক ডেঙ্গু রোগী বেড়ে গেছে। ডেঙ্গু যাতে ভয়াবহ বিস্তার করতে না পারে এই ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি।

দাগনভূইয়া পৌর সভার মেয়র ওমর ফারুক খান জানান, জায়গার অভাবে পৌর এলাকার ময়লা গুলো ড্রাম্পিং করা যায়নি । আমার নিজস্ব অর্থায়নে জায়গা কিনেছি ২৪ সালের মধ্যে আমারা ময়লা ড্রাম্পিং এর কাজ শেষ করতে পারবো।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে