করবো বন্য প্রাণী সংরক্ষণ, সুস্থ থাকবো সারাক্ষণ, পৃথিবীর অস্তিত্বের জন্য প্রাণীকুল বাঁচাই' স্লোগান নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস পালিত হয়েছে।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে আজ রোববার (৩ মার্চ) সকাল ১০ টায় মানববন্ধন ও র্যালি শেষে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ এবং বন্য প্রাণীর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণ করেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন, সিসিডিবি, রুপান্তর-আস্থা প্রকল্পের যুব ফোরাম, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন (বন্ধু), জেন্ডার সমতা এবং জলবায়ু জোট-বাংলাদেশ, পাথরঘাটা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবি সম্মিলিত ফোরাম, স্যাপ বাংলাদেশ, সংকল্প ট্রাস্ট, সংগ্রামসহ অন্তত ২০ টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সুব্রত কুমার মিস্ত্রী, তাজমেরী জাহান লিখন, শফিকুল ইসলাম খোকন, কহিনুর বেগম, কিশোর কুমার দাস প্রমুখ।
তারা বলেন, একটা সময় অহরহ বন্য প্রাণীর দেখা মিললেও এখন আর বন্যপ্রাণীদের দেখা মেলেনা। এখন আর শোনা যায়না বসন্তে কোকিলের কুহূকণ্ঠের ধ্বনি। পঁচা আর মরা কোন প্রাণী খেতে শকুন কিংবা কাক আসেনা। এসব বন্যপ্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে। খাদ্য আর বাসস্থানের সংকট প্রকট হওয়ায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, কিছুসংখ্যক প্রভাবশালী বনখেকো নিষ্ঠুরভাবে বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং পাখি শিকারিদের ফাঁদে উপকূল থেকে বন্যপ্রাণীদের আশংকাজনকভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে। পাথরঘাটায় প্রতি বছর বন উজাড়ের পাশাপাশি অসংখ্য বন্য প্রাণী মারছে। পঁচা আর মরা কোন প্রাণী খেতে শকুন কিংবা কাক আসেনা, ফলে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।
বন সংরক্ষণ না করলে, বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে, প্রকৃতি ধংস হলে মানুষও ধংস হতে বাধ্য। তাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষাকারী বন্য প্রাণী বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে গবেষণা, নতুন নতুন পদ্ধতি গ্রহণসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
যাযাদি/এসএস