সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩টি ব্রিজ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ১০ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯
সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না ৩টি ব্রিজ

বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌরসভার কৈয়ার পাড়ায় ৩ ব্রিজ নির্মাণের প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হলেও দু-পাশে মাটি ভরাটসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

গত ২৭ নভেম্বর ২০২২ সালে পৌর এলাকার কৈয়ার পাড়া মসজিদ হতে দেলুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত। একটি সড়কের পুর্ননির্মাণ ও মেরামত কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। সংযোগ সড়কটির নির্মাণকাল ছিলো গত ২০২৩ সাল। এ ই কাজটির ব্যায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। রাস্তা ও ব্রীজের কাজটিতে অর্থায়ন করছে, বাংলাদেশ সরকার ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। ২০২৩ সালে কাজটির সমাপ্তির কথা থাকলেও,সামান্য কিছু কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কয়েক মাস আগে কাজটি বন্ধ রেখে চলে গেছে।

এলাকাবাসী জানান, দুই গ্রামের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ উপজেলা সদরে যাওয়া-আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল সড়ক ও ব্রীজ। ব্রিজগুলো নির্মিত হলেও দুর্ভোগ কমেনি এলাকাবাসীর। সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ব্রিজগুলো নির্মিত হলেও তারা ব্রিজ ব্যবহার করতে পারছে না। তার উপর তাদের যে পায়ে হাটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। এ কারনে এলাকার লোকজন কে ভিন্ন সড়ক দিয়ে ৩ গুন বেশি ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।

রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আবুল হোসেন জানান, আগে ব্রিজ ছিল না, তখন যেভাবে বর্ষার মৌসুমী নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পাড় হয়েছি ব্রিজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা।

আকবর আলী বলেন, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজগুলো কিন্তু ব্রিজগুলো নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।

নির্মাণ কাজের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ফয়েজ মিয়া জানান, কাজ তো করতেই হবে। কাজ আমি করবো অফিসিয়াল কিছু ঝামেলা আছে। কাজের বিল আছে এগুলো পেলেই খুবি তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবো।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি বলেন,কাজটি বন্ধ থাকায় ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। আমি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলবো কাজটি শেষ করে ঐ এলাকার লোকজন কে এ দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকল্প অফিসার তারিফুল ইসলাম বলেন, কাজের ব্যাপারে কিছু সমস্যা ছিলো। এখন মিটে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে চিঠি দিবো ৭ দিনের ভিতর কাজ শুরু করার জন্য। যদি কাজ শুরু না করে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে