পটুয়াখালীর বাউফলে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে আহত হয়েছে সপ্তম শ্রেণির শারীরিক প্রতিবন্ধি মো. সাব্বির হোসেন (১৩)। চিকিৎসা করাতে গেলে জানা যায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। পরে সাব্বির মারা গেছে। এ ঘটনায় সাব্বিরের বড় ভাই সজীব হোসেনকে (২২) পুলিশ আটক করে এবং সজীবের স্বীকারোক্তি মতে রান্নাঘর থেকে আজ সোমবার দুপুরে গুলিভর্তি একটি রিভালবার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এমন ঘটনা ঘটেছে বাউফল উপজেলার সূর্য্যমনি ইউনিয়নের সূর্য্যমনি গ্রামে।
নিহত সাব্বির ওই গ্রামের মো. বাবুল সওদাগরের ছেলে। সে সূর্য্যমনি নিউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। সে ছিল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। তাঁর দুই হাতেই সমস্যা ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্যমতে, গতকাল রোববার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাব্বির আহত হয়। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সে আহত হয়েছে সাব্বির । পরে আহত সাব্বিরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাব্বিরের মৃত্যু হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন,‘বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখান থেকে জানানো হয়,শিশুটি গুলিবিদ্ধ । তখন থেকেই সাব্বিরের ভাই সজীবকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাঁদের রান্না ঘরের একটি শুকনা গাছের পাতার বস্তা থেকে গুলিভর্তি একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন,সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
যাযাদি/ এম