শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

পটিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু 

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:১৮
পটিয়ায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু 

পটিয়া-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় আরাফাতুর রহমান (২৮) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় পথচারীরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. আশিক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, নিহত আরাফাতুর রহমান পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়াডের কাগজীপাড়া এলাকার মৃত আবু তাহেরের বড় ছেলে। দুই ভাই ও ১ বোনের মধ্যে তিনি বড়। গত চার মাস আগে তার বাবা মারা যান। নিহত আরাফাতুর রহমান পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ব্যবসায়ীক কাজে মোটরসাইকেল চালিয়ে আমজুর হাট এলাকায় থেকে তার নিজ বাড়ী কাগজী পাড়া এলাকায় আসার পথে বাড়িতে প্রবেশ করার সময় মহাসড়কে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা পটিয়ার একটি যাত্রীবাহী মিনি বাস তাকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলেই এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আরাফাতুর রহমানের বড় চাচা আবুল খায়ের বলেন, আমার ভাতিজা আমজুর হাট থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করার সময় দ্রুতগামী একটি মিনি বাস পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলেই সে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। এসময় তার মাথায় গুরতর আঘাত পান। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায়। চার মাস আগে তার বাবা মারা যায়। পরিবারের বড় ছেলেকে অকালে হারিয়ে পরিবারটি এখন দিশেহারা।

পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পটিয়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের কাগজীপাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে পটিয়ার দিকে আসা একটি যাত্রীবাহী মিনি বাস মোটরসাইকেল আরোহীকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিলেই এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী আরাফাতুর রহমানকে স্হানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি আটক করা হলেও চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। নিহতের পুপাত ভাই ইদ্রিচ আমাদেরকে একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা সড়ক আইনে মামলা দায়ের করার জন্য প্রস্ততি গ্রহন করছি। তবে লাশটি এখনো চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানকার আইনীপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে