ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মধ্যে এক জনের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়। তিনি হলেন উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের চাকফিরানী দেওয়ান বাড়ির আকতার উদ্দিনের ছেলে আশিকুর রহমান আসিফ। তার পিতা আকতার উদ্দির মেরিন একাডেমিতে ফার্মাসিস্ট হিসেবে কর্মরত। সপরিবারে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমিতে থাকেন। আসিফরা দুই ভাই। বড় ভাই আতিকুর রহমানও জাহাজের নাবিক।

সোমালি দস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া আসিফের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চলছে আহাজারি। চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। দস্যুরা কোনো ক্ষতি করে বসে কি না সেই আতঙ্কে আছেন তারা। তারা দাবি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার যেভাবে হোক তাদের যেন জীবিত ফিরিয়ে আনে।

আসিফের চাচা মাস্টার নাছির আহমদ বলেন, জিম্মি করার পর আসিফের হাতে থেকে জলদস্যুরা মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার আগে তার বাবার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। তখন সে বলেছে, আমাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন। তারপর পরিবারের সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি।

বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ বলেন, আসিফ আমার ইউনিয়নের ছেলে। আমরা আশা করছি দ্রুত আসিফসহ বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজের নাবিকরা মুক্ত হবেন। জাহাজের মালিক ও সরকারকে সোমালিয়ার জিম্মি দশা থেকে এদের মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

সোনালী ধান ঘরে তোলার আগে বৃষ্টি চায় না কৃষক

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন বাংলাদেশের পতাকাবাহী 'এম ভি আবদুল্লাহ' নামের জাহাজটির পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নোঙর করে। এরপর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে দ্বিতীয়পক্ষের হাতে হস্তান্তর করে প্রথম গ্রুপটি জাহাজ থেকে নেমে যায়।

যাযাদি/এসএস