শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকছড়ি ও লক্ষীছড়িতে গম চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

মো. রবিউল হোসেন, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
  ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৮

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ও লক্ষীছড়ি উপজেলায় প্রথমবারের মতো রবি শস্য প্রণোদনা কর্মসূচি ও রাজস্ব খাতের প্রদর্শনীতে গম চাষ করেছেন ৫ জন চাষি। ইতোমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে প্রতিটি ক্ষেতে। লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় প্রথমবারের মতো প্রণোদনায় ৪টি এবং রাজস্ব খাতে একটি প্রদর্শনীতে গম চাষ করেছেন ৪জন কৃষক। উপজেলার দুল্যাতলী ইউনিয়নের জারুলছড়ি গম প্রদর্শনীতে গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক নুর হোসেন তাঁর ৩৩ শতক জমিতে সৃজিত গম ক্ষেতে পাখির আক্রমণ ঠেকাতে জালে পুরো গম ক্ষেত ঘিরছেন।

এ সময় তিনি জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় এই প্রথম সবজি চাষের বদলে ক্ষেতে গম লাগিয়েছি। ফসল ভালো দেখে মনে আনন্দ লাগছে! গাছে গম পরিপক্ক হওয়ায় খেতে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুঘু, টিয়া, চড়াই পাখি পড়ছে। ফলে ফসল টিকিয়ে রাখতে জালে খেত ঘিরতে হয়েছে। জমির পাশে ছোট ছড়া থাকায় নিয়মিত সেচ দিতে পারছি বিধায় ফলন ভালো দেখছি।

এসময় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, 'নুর হোসেন একজন সফল কৃষক। সে এই জমিতে রবি মৌসুমে সবজি ও আউশ, আমনে ধান চাষ করত। এবার তাঁর জমিতে পরীক্ষামূলক গমের প্রদর্শনী দিয়েছি। গাছে গাছে গম পরিপক্ক হয়ে উঠছে। আগামী ১৫/২০ দিন পর ফসল কাটা যাবে'।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 'এই পাহাড়ি জনপদের মাটি ও বায়ু গম চাষে বেশ উপযোগী। ফলে পরীক্ষামূলক উপজেলায় ৪জনকে রাজস্ব খাতে এবং একজনকে প্রণোদনার আওতায় গমের প্রদর্শনী দিয়েছি। সবখানে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়ায় ক্ষেতে ফসলের চমক দেখছি। নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর বীজ সংগ্রহের কারণে জমিতে ফসল আসতে এবং পাকতে একটু দেরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে পাহাড়ি এই এলাকায় গম চাষেের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছি'।

এদিকে মানিকছড়ি উপজেলার ২নং বাটনাতলী ইউনিয়নের বুদংপাড়া এলাকায় চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ২০ শতাংশ জমিতে গম চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক শামসুল হক। ইতিমধ্যে তিনি পাকা গমের ফসল কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। ফলনও বেশ ভালো হওয়ায় আগামি মৌসমে বাড়াতে চান গমের চাষ।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে