কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া ভ্রমন তরীর এলাকায় আরো তিন জনের লাশ ভেসে উঠে।এরা হলো ঝন্টু দে'র স্ত্রী রুপা দে (৩০), পুলিশ কনস্টেবল সোহেলর মেয়ে মাহমুদা সুলতানা ও নরসিংদির বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার। এর আগে ভৈরবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ডুবে যাওয়া ভ্রমন তরীটি আজ রবিবার দুপুরে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ। তবে এতে নিখোঁজের কোন সন্ধান মিলে নি। বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী নৌযান অগ্রণীর মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে উদ্ধারকৃত ট্রলারটি আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর চরের তীরে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৩ জন।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-পরিচালক উবায়েদুল করিম খান জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সকাল নয়টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলাটি দীর্ঘ চেষ্টার পর পানিতে ভাসমান করার পর বেলা ১২ টার দিকে চেইন কপ্পার সাহায্যে মেঘনার পাড়ে তোলা হয়েছে। তবে উদ্ধার হওয়া ট্রলারে কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের উদ্ধারে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে ১৬/২০ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামে পর্যটকবাহী একটি নৌকা বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনার পর দিন উদ্ধার অভিযানে শনিবার দুপুরে ৫ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দে'র কন্যা আরাদ্দা দে (১২)। সুবর্নার আক্তার লাস দুর্ঘটনার পর পরই পাওয়া গিয়েছিল।
তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো ৩জন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজরা হলো পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪), তার ছেলে রাইসুল (৫) কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।