বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

কালীগঞ্জে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ট্রাকসহ গ্রেফতার ৩  

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪
ছবি-যায়যায়দিন

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। পুলিশের এক অভিযানে নাটোর থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণসহ আব্দুল্লাহ (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের অপর অভিযানে নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রাক ভর্তি গোখাদ্য নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজধানী উত্তরা থেকে ট্রাকের সহকারী মো. আরিফ (২৬) ও চোরাই গোখাদ্য সোয়ামিল ক্রয়ের দায়ে অপু দাসকে (২৬) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও ১৩৫ বস্তা গোখাদ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ নাটোরের লালপুর উপজেলার শেখছিলান গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা এলাকার একটি ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। অপর দুই আসামি আরিফ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার হামছায়াপুর গ্রামের শাহ আলীর ছেলে। সে গোখাদ্য সোয়ামিল নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ট্রাকটির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। অপু গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ভুরুলিয়া গ্রামের অতুল দাসের ছেলে। তিনি কালীগঞ্জের নাগরী বাজারে গোখাদ্যের ব্যবসা করেন।

ওসি জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক মামলার পর গ্রেফতারকৃতদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্বর্ণ উদ্ধার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান, গ্রেফতার আব্দুল্লাহ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের পানজোরা এলাকার একটি ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। এছাড়াও তিনি কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলালের ভাতিজি জামাই। সেই সুবাদ মাঝে মধ্যে তিনি ওই বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ২৩ মার্চ সুযোগ বুঝে চাচা শশুর বেলালের ঘরের আলমারিতে রাখা সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় চাচা শ^শুর থানা অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে নাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির একটির ঘরের ইলেকট্রিক বোর্ডের ভেতরে নীল রঙ্গের একটি পলি থেকে সাড়ে ৭ ভরি বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) কালীগঞ্জ থানায় মামলায় (নং ২৬) দায়ের পর তাকে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে, ট্রাক ভর্তি গোখাদ্য সোয়ামিল উদ্ধারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ জানান, গত ১৯ মার্চ ট্রাকের চালক ও হেলাপার নারায়ণগঞ্জ থেকে ৩শ বস্তা গোখাদ্য সোয়ামিল লোড করেন, বগুড়ার আলাল গ্রুপে নেওয়ার জন্য। পথিমধ্যে কালীগঞ্জে ট্রাক নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। পরে এ ঘটনায় ওই দিনই কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং ২২) দায়ের হয়। সেই মামলায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ট্রাকের হেলপার আরিফকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকটি কালীগঞ্জে তুমলিয়া ইউনিয়নের চুরিয়াখোলা থেকে ৫০ বস্তা সোয়ামিলসহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, আরিফের তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলার নাগরী বাজারে ২০০ বস্তা সোয়ামিল বিক্রি করে স্থানীয় ব্যবসায়ি কাছে। পরে সেই ব্যবসায়ি অপু দাসকে গ্রেফতারসহ তার কাছ থেকে ৭৫ বস্তা গোখাদ্য উদ্ধার করা হলেও বাকীগুলো খামারিদের কাছে বিক্রি করে ফেলে। তাই ওই গোখাদ্য ব্যবহার করে ফেলায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে ১৩৫ বস্তা সোয়াসিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও বাকী ৫০ বস্তা সোয়াসিল রূপগঞ্জে বিক্রি হয় বলেও পুলিশের কাছে জানায় আরিফ। এ মামলায় আরো একজন পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাকে এবং বাকী মালামাল উদ্ধারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই এসআই ।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে