বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে গার্মেন্টস দোকানগুলোর চেয়ে টেইলার্সে ভিড়

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ২৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৭
সৈয়দপুরে গার্মেন্টস দোকানগুলোর চেয়ে টেইলার্সে ভিড়

রোজা শুরুর দিক থেকে ৯/১০ রোজা পর্যন্ত নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা শুরু না হলেও ১২/১৩ রোজা থেকে কেনাকাটার ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে সৈয়দপুরের গার্মেন্টস, কাটা কাপড়, টেইলার্স ও স্যান্ডেল-জুতার দোকানগুলোতে।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে, মহিলা-পুরুষ, যুবক-যুবতিদের শহরের প্লাজা সুপার মার্কেট, থ্যাংকস ক্লথ ষ্টোর ও রেলওয়ে বাজারের দোকানগুলোতে ভিড় জমতে।

প্রতিবারের মতো অবস্থা এবার না হলেও খুব একটা ফুরসত নেই টেইলার্স এর দোকানের দর্জিদের। চাপের কারণে হয়তো ২০ রমজানের পর অর্ডার নেয়া বন্ধ ঘোষণা করতে হতে পারে বলে মনে করছেন টেইলার্স মালিকরা। অপরদিকে শহরের প্লাজা সুপার মার্কেট, থ্যাংকস ক্লথ মার্কেট ও রেলওয়ে বাজারের গার্মেন্টেসের দোকানগুলোতে টুকটাক কেনাকাটা চললেও যারা টেইলার্সে নিজেদের পোশাক পছন্দ করেন তারা কাটা কাপড় কিনে পোশাক তৈরির জন্য টেইলার্সের দোকানগুলোতে ভিড় জমানো শুরু করেছেন।

গার্মেন্টস দোকানের মালিকরা বলছেন আর ২/১ রোজার পর থেকে তাদের বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হবে। ইতিমধ্যে তারা আধুনিক ডিজাইনের পোশাকের সমাহার নিয়ে বেচাকেনার জন্য তৈরি রয়েছেন।

ইতিমধ্যে রোজার আগ থেকেই গার্মেন্টস, কাপড়, টেইলার্স, মনিহারি দোকানগুলোর মালিকরা তাদের দোকানগুলো নতুন করে সংস্কারসহ নতুন করে রঙো করেছেন।

টেইলার্স মালিকরা যদিও মনে করেন যে, এখন লোকজন গার্মেন্টস দোকান থেকেই তাদের তৈরি পোশাক কেনায় সেলাই করে এখন খুব কম মানুষজনই পোশাক পড়েন।

তবে রুচিশীল মানুষের প্রথম পছন্দ দক্ষ টেইলার্সের কাছে মনের মতো করে পোশাক তৈরি করে নেয়া। বড়দের পাঞ্জাবি থেকে স্যুট, কোর্ট, শার্ট, প্যান্ট, ফতুয়া ও ছোটদের যে কেনো ধরনের ফিটিং পোশাক সবই তৈরি হয় টেইলার্সের কারিগর দর্জিদের নিপুণ হাতে। তাই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ও বয়সীরা পোশাক গার্মেন্টস এর চেয়ে টেইলার্সে পোশাক তৈরির জন্য ভিড় করছেন এখন বেশী।

শহরের বিভিন্ন টেইলার্স দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, কাটা কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কিনে পছন্দের পোশাক তৈরির জন্য টেইলার্স দোকানে ভিড় করছেন কেউ-কেউ। শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে ডিসেন্ট, সানমুন টেইলার্স, ঢাকা টেইলার্স।

থ্যাংকস ক্লথ এর রাস্তায় মতি টেইলার্স, সৌখিন টেইলার্স, স্টুডেন্ট, পারফেক্ট ও বঙ্গবন্ধু সড়ক, শেরেবাংলা রোড, শহীদ তুলশীরাম সড়ক, রেল-লাইনের দু’ধারে, হাতিখানা ক্যাম্প, কাজিরহাটসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে এবং উপজেলার হাট-বাজারে প্রায় দুই হাজার দর্জির দোকান রয়েছে। রোজা শেষ হতে এখনও অনেক বাকি তবুও ব্যস্ত সময় শুরু হয়েছে দর্জিদের।

ঢাকা টেইলার্স ও টুডে টেইলার্স মালিক জুবায়ের ও জাবেদসহ টেইলার্স মাস্টাররা জানান, শবে বরাতের পর থেকেই ঈদের পোশাক বানানো শুরু হয় আর রমজান মাস শুরু হতেই দশগুণ অর্ডার বেড়ে যায়।

এভাবে ১৫ রমজান পর্যন্ত পোশাক তৈরির অর্ডার নেয়া হয়ে থাকে। অতি পরিচিতদের অনুরোধ রাখতে শত ব্যস্ততার মধ্যে ২ থেকে ৪টি অতিরিক্ত অর্ডার নেয়া হয়। তবে, আগের মতো না হলেও মোটামুটি ভালোই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে।

পারফেক্ট টেইলার্স এর দর্জি বাবু জানান, এখন আমাদের দিনের পাশাপাশি রাত জেগে কাজ করতে হচেছ। নারীদের পোশাক তৈরির কারিগররা জানান, ঈদের পোশাক নারীরা রমজান শুরু হতেই ছুটছেন দর্জির দোকানগুলোতে।

তবে সেলাই’র দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। শহরে বেশি নেয়া হলে গ্রামে তুলনামূলক নেয়া হয় কম।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে