রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

শোলমারী রেগুলেটরে পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে : ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি

সুব্রত কুমার ফৌজদার, ডুমুরিয়া (খুলনা)
  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০
ছবি-যায়যায়দিন

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, ‘পলি পড়ে শোলমারী নদী প্রায় সমতল ভূমিতে রূপ নিয়েছে। এ নদী মারা গেলে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তর বিলডাকাতিয়া বিলসহ বিশেষ করে ডুমুরিয়ার রংপুর ও বটিয়াঘাটা উপজেলার একটা বড় অংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে। জলাবদ্ধতা নিরশনে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। শনিবার বিকালে শোলমারী গেটসহ নদী পরিদর্শনে যেয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শোলমারীসহ খুলনার ডুমুরিয়ায় চরম নাব্যতা সংকটে ১১টি নদী খননের চেষ্টা চলছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। তাছাড়া ঘোনারদাড়ায় ব্রীজের নিচে বাঁধ দিয়ে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর দিয়ে পানি ওঠা-নামার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রাখার চেষ্টা করছি।’

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা, পাউবো’র খুলনা-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমীনা পারভীন, পাউবো’র এসডি আতাউর রহমান, থানা অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত সাহা, পাউবো এসও মোঃ তরিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক ঢাকার সিনিঃ প্রিন্সিপাল অফিসার পরেশ চন্দ্র মন্ডল, পাউবো’ ২৭/১ পোল্ডারের সভাপতি শেখ এনামুল হোসেন, ইউপি সদস্য তরুন কুমার সরকার, মিলন মহলদার, পলাশ হালদার, আ’লীগ নেতা কাজী আব্দুল মজিদ, সঞ্জয় দেবনাথ, শিশির ফৌজদার, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী মেহেদী হাসান রাজা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খান আবুল বাশার প্রমুখ।

পাউবোর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, ‘শোলমারী রেগুলেটরে ২টি ৩৫ মিমি পাম্প বসানো হবে। অলরেডি আমরা টেন্ডারে দিয়েছি। তবে জার্মান থেকে পাম্প আসতে কিছুটা সময় লাগবে। আশাকরি ঈদের পরপরই এটা বাস্তবায়ন হবে। এর আগ পর্যন্ত শোলমারী গেটের মূখে চলমান লোকাল ড্রেজিং ব্যবস্থা অব্যহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, ডুমুরিয়া উপজেলার অধিকাংশ নদী ও সংযোগ খালে পানি প্রবাহ না থাকায় মূল নদীগুলো দ্রুত পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে বিলডাকাতিয়া বিলসহ রংপুর অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে রংপুর এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও পাউবোর উদ্যোগে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের উজান ও ভাটিতে জরুরি ভিত্তিতে পলি অপসারণ করায় জলাবদ্ধতা সাময়িকভাবে দূর হলেও সম্প্রতি আবারো রেগুলেটরের মুখে ব্যাপক পলি পড়েছে।

পাউবো’র একটি সুত্র জানায়, “খুলনা জেলার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় শোলমারী নদীর সাথে সম্পর্কিত বিল ও আবাসিক এলাকার জলাবদ্ধতা নিসরন” শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রণয়নাধীন রয়েছে। এছাড়াও “আতাই-ভৈরব-রূপসা নদীর অববাহিকার সমন্বিত পানি সম্পদ ও পলি ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত বিস্তারিত সমীক্ষা” এবং “খুলনা জেলা ও তৎসংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে ভৈরব, আতাই, রূপসা, ভদ্রা, হামকুড়া ও গ্যাংরাইল নদী সিস্টেম পুনঃখনন/ড্রেজিংসহ বিভিন্ন নদী ভাঙ্গন কবলিত স্থানে নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ” শীর্ষক ২টি প্রকল্পের সমীক্ষা কাজ প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদীসমূহ সচল হবে বলে জানা গেছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে