ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাইফলাইন খ্যাত কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় মহাসড়কের ৪৪ কিলোমিটার সড়কের অবস্থান।
কিছুদিন আগেও মহাসড়কের এ অংশের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় যানজট লেগে থাকতো নিয়মিত। উল্টোপথে সিএনজি-অটোরিক্সার চলাচল, মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে সিএনজি ষ্ট্যান্ড বসানো এবং চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশের ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাটের কারণে সৃষ্ট যানজটের প্রভাব পড়তো পুরো মহাসড়কে। বিশেষ করে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভোগান্তির কোন শেষ ছিলনা। চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশ পার হতেই অন্তত ২০-৩০ মিনিট সময় চলে যেতো।
গত ৭ই মার্চ ভোরে ঢাকা-থেকে চৌদ্দগ্রামের উদ্দেশ্যে পরিবার নিয়ে রওনা দেন কর্পোরেট চাকুরিজীবি মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, কোন ধরনের যানজট ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরি।
চট্রগ্রাম নিউমার্কেটের কম্পিউটার ব্যবসায়ী মোঃ ফারহান আহমেদ বিজয় জানান, ৯ই এপ্রিল ভোরে তিশা প্লাসে করে চৌদ্দগ্রামের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিই। কোন ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই মাত্র দেড় ঘন্টায় বাড়ি পৌছাই।চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের সুফল পাচ্ছে জনগণ। মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার অংশে এবং মিয়াবাজার অংশে নিয়মিত হাইওয়ে পুলিশের টহল টিম রয়েছে। যানজট নিরসনে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মহাসড়কে যাতে অবৈধ পার্কিং, ফুটপাত দখল এবং উল্টোপথে গাড়ি চলাচল না করতে পারে সে বিষয়ে টহল টিম কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
কুমিল্লা রিজিউন হাইওয়ে পুলিশ সুপার খায়রুল আলম যায়যায়দিনকে বলেন, মহাসড়কের যানজট নিরসনে এবং ঈদে যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ী ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমাদেরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, মাননীয় আইজিপি মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কফোরভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
তাদের নির্দেশনার আলোকে রমজানের আগেই আমরা জেলার ২২টি থানার পুলিশ প্রশাসন, পরিবহন সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সাথে বারবার আমরা মিটিং করি। মহাসড়কের যানজট নিরসনে ফুটপাত উচ্ছেদ, অবৈধ পার্কিং বন্ধ, উল্টোপথে সিএনজি-থ্রি হুইলার বন্ধে কঠোরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ফলে এর সুফল পাচ্ছে এবারের ঈদে ঘরমুখো লাখো যাত্রী। মহাসড়কের যানজট নিরসনে এ কার্যক্রম ঈদের পরেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
যাযাদি/ এস