বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন

বরিশাল অফিস
  ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩
শেবাচিম হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুন

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার এক আসামি আরেক হত্যা মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে নিহত ছাড়াও আরেক আসামিকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ওই আসামি। নিহত মো. মোতাহার (৬০) বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে।

তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এছাড়া আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।

হামলাকারী তরিকুল ইসলাম (২৫) পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক জানান, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী তরিকুল ইসলাম অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুইজনই আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।

এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র জানান, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। ভোরে আকস্মিকভাবে মানসিক রোগী অপর দুই আসামিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকেন। এতে মোতাহারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।

অজিত আঘাত পেলেও ততটা গুরুতর নয়। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। তাই দায়িত্বরতরা দ্রæত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেননি।

হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা করে রাখা উচিত ছিল।

এ বিষয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো। দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে