মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

যারা মুজিবনগর সরকারকে স্বীকার করে না তারা স্বাধীনতা বিরোধী : কাজী জাফরউল্লাহ

মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫১

যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে বাধা প্রদান করবে, প্রচারণা চালাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। যারা মুজিবনগর সরকারকে স্বীকার করে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। মুজিবনগর সরকার হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সরকার। এর বিরোধিতা যারা করে তারা মূলত স্বাধিনতা বিরোধী। দিনটি বাঙ্গালি জাতীয় জীবনে অন্যতম একটি স্বরণীয় দিন। আজকে মুজিবনগর দিবসে আমাদের প্রত্যয়-স্বাধীনতা বিরোধিরা বার বার দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করার জন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটি উন্নয়ন ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসাবে তুলেছেন। বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে যা যা করণীয় করে যাচ্ছে। মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ এসব কথা বলেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে সঠিক তথ্য পেলে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যাচাই বাছাইয়ে যাদের সনদে ভূল ধরা পড়েছে তাদের সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে মুজিবনগর দিবসটি বি ক্যাটারি রাষ্ট্রিয় দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট মুজিবনগর দিবসটি এ ক্যাটাগির রাষ্ট্রিয় দিবস হিসাবে পালনের প্রস্তাব করা হয়েছে। আশা করছি ক্যাবিনেট মিটিংএ এ বিষয়ে উত্থাপন হলে এ ক্যাটাগরি দিবস হিসাবে মুবিজনগর দিবস পালন করা সম্ভব হবে। সেই সাথে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সটি বিশ^মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য সরকার যে টাকা বরাদ্দ দিয়েছে তার কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বর্তমান সময়ে যে কোন দেশের তুলনায় অত্যন্ত প্রসংশনীয়।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি। তবে পরিতাপের বিষয় হলো বিএনপি-জামায়াত সহ অনেকেই মুজিবনগর সরকারের শপথের এই দিনটি পালন করেনা। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ প্রতিবছর এই দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করে থাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতে হলে মুজিবনগর সরকারেক বিশ্বাস করতে হবে। তাই মুজিবনগরকে আধুনিকায়ন করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ঐতিহাসিক মুজিবনগরে এসে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে সে বিষয়ে বর্মমান সরকার সব ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করছে। ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। দু’দেশের সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার জন্য মুজিবনগরে স্থাপন করা হচ্ছে চেক পোস্ট। যার কার্যক্রম দ্রুতই এগিয়ে চলেছে। হবে স্থলবন্দরও। স্থলবন্দর বড় অবকাঠামো নির্মাণ সাপেক্ষে চালু হবে। স্বারাষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সমিক্ষার কাজও শেষ হয়েছে। এ সবই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের কল্যাণে মেহেরপুর বাসির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অনন্য উপহার।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মুজিবনগর দিবস অনুষ্ঠানের সভাপতি আ.ফ,ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ,বির্নিমাণে যেখানেই বাধা আসবে,যেখানেই বিভান্তি সৃষ্টি করা হবে বা প্রচার করা হবে,সেখনেই প্রতিবাদ করা হবে। এই হোকে আমাদের আজকের মুজিবনগর দিবসের প্রত্যায়। দেশে বিএনপি-জামায়াত একেক সময় এককে রকম কথা বলে বেড়ায়। যার কোন ভিত্তি নেই। তারা স্বাধিন সর্বভোম রাষ্ট্রকে ব্যার্থ রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে বিভোর। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত করে তারা ফায়দা লুটতে চায়। তবে তাদের সে আশা পুরণ হবেনা। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট বানানোর খায়েশ বিএনপির পূরণ হবে না।

এর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি সভাপতিত্বে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য কাজি জাফর উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, রাজশাহী সিটি কর্পরেশনের মেয়র এ.এইস.এম খাইরুজ্জামান লিটন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি,সৈয়দা জাকিয়া নুর এমপি, পারভিন জামান কল্পনা এমপি, এ্যাড গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের এমপি এস.এম নাজমুল হক, মেহেরপুরের আশপাশ জেলার সংসদ সদস্যগণ সহ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ । পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে জাতীয় ও দলিয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন শেষে পুলিশ, আনসার, স্কাউট ও গার্লস গাইড দল অতিথিদের গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে। পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন ।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে