বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

নাইক্ষ্যংছড়িতে জলকেলি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

নাইক্ষ্যংছড়ি(,বান্দরবান) প্রতিনিধি
  ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১২
নাইক্ষ্যংছড়িতে জলকেলি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বর্ণিল আয়োজনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও শুভ নববর্ষ উদযাপনে জলকেলির (পানি ছিটানো) মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই শেষ হয়েছে। চার দিনব্যাপী উদযাপিত সাংগ্রাই উৎসবের পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। এর পাশাপাশি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরী, ছোঁওয়াইং দান, বুদ্ধ প্রতিবিম্ব স্নান, ধর্ম দেশনা শ্রবণ অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার (১৪ এপ্রিল ) সকাল ১০টায় বাংলা নতুন বছর ১৪৩১ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও উপজাতি সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব উদ্বোধন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জলকেলি সাংগ্রাই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকারিয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ক্যানেওয়ান চাক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মংলা ওয়াই মার্মা,দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: ইমরান, কৃষি অফিসার এনামুল হক, সহকারি শিক্ষা অফিসার আক্তার উদ্দিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মকর্তা শাহা আজিজ, থানা'র অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুল মান্নান ,উপজেলা প্রাণী সম্পদ (ভা:) কর্মকর্তা,ছৈয়দ নুরসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ,সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি গণ, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।

জলকেলিতে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে-অপরকে পানি ছিটিয়ে খেলা শুরু করেন। পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ এই উৎসবে যোগ দেন। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসাবি উৎসব প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষবরণ উপলক্ষে মারমাদের ‘সাংগ্রাই এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যারা ‘বিজু নামে এই উৎসব পালন করে।

ইতি পূর্বে ১৪ এপ্রিল সকালে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার ও সাংগ্রাই উৎসবের সূচনা করা হয়। হিংসা-বিদ্বেষ না থেকে মৈত্রীময় জলধারায় পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করতে সাংগ্রাই করা হয়।

সাংগ্রাই উপলক্ষে উপজাতীয় পল্লী গুলুতে নানা ধরনের খেলাধুলা সহ পিঠা উৎসবের আয়েজন করে থাকে। পাশাপাশি বিহারে অবস্থান করে ধর্ম পালন করে থাকে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে