চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়় (চুয়েট) এর দুই শিক্ষার্থী বাসের ধাক্কায় নিহত হওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে চুয়েট শিক্ষার্থী ও গণপরিবহন মালিক শ্রমিকরা ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট আহবান করে মুখামুখি অবস্থান নিয়েছে।
আজ শনিবার গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ সংবাদ সন্মেলন করে তাদের কর্মসূচি ঘোষনা করে অভিযোগ করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বজায় রেখে তাদের তিনটি বাস আটক করে দুটি জ্বালিয়ে দিয়েছে। নিরহ পরিবহন শ্রমিকদের জানমালের হুমকি সৃষ্টি করছে।
সংগঠনটির পক্ষে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী গাড়ি পোড়ানো ও এঘটনায় শ্রমিকদের হয়রানীর প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
এদিকে চুয়েট শিক্ষার্থীরা গতকাল চুয়েট গেইটে সড়ক কিনারায় দাঁড়িয়ে ১০ দফা দাবি আদায়ে মানববন্ধন করেছে। তারা অবিলম্বে ঘোষিত দাবি পূরণের কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হন।
এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ওই দিন থেকেই ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চুয়েট সংলগ্ন এলাকায় অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন।
চার দিন ধরে সড়ক অবরোধ, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় চুয়েট কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জরুরী সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় ৯ জুন পর্যন্তবিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করে। এই সময় শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে যাওয়ার নিদেশ দিলেও পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শর্ত সাপেক্ষে হলে অবস্থানের সুযোগ দেন।
শিক্ষার্থীরা তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি আপাতঃ স্থগিত ঘোষনা করলেও এই আন্দোলন চলমান রাখা হবে জানায়। চট্টগ্রাম মোটর মালিক গ্রæপের সভাপতি সৈয়দ হোসেন কোম্পানী চলমান সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বলেন মোটর মালিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।
কেউ বাসে এসে ধাক্কা দিয়ে পড়ে মারা গেলেও দোষ চাপে বাসের উপর। তারপরও মানবিক করণে বাস মালিকরা সতদুর সম্ভব মৃত ব্যক্তিকে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। চুয়েট এর দুই শিক্ষার বেলায় সাধ্যমত সহায়তা দেয়া হয়েছে। এরপর হয়রানী করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
যাযাদি/ এম