ঢাকায় ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে মারা গিয়েছে বিলাসপুরের সংঘর্ষের ঘটনায় হাতবোমার আঘাতে গুরুতর আহত সৈকত সরদার(১৮)।
শনিবার (২৭-এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সৈকত সরদার মারা যায় বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এর আগে সৈকত সরদারকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ও ফরাজি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নিহত সৈকত মাদবরের পরিবার সূত্রে জানা যায়, টানা ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সৈকতের শারিরীক অবস্থা ভালো-মন্দের মধ্য দিয়েই যায়। তবে গতকাল হঠাৎ সৈকতের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে। শনিবার দুপুরের দিকে সৈকত সরদার মারা যায়। নিহত সৈকত সরদার বিলাসপুরের মুলাই বেপারি কান্দি গ্রামের মৃত কাশেম সরদারের ছেলে। নিহত সৈকত সরদার বিলাসপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারির সমর্থক ছিলো। সৈকতের মৃত্যুর খরব এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।
উল্লেখ্য: প্রায় দুই বছর মোটামুটি শান্ত থাকার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর। যার ফলে গত (২৮-মার্চ) রাত আনুমানিক নয়টার সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়াচাঁন মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সি হাতবোমার আঘাতে পেটের নারী-ভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত সজিব মুন্সি পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলো।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বিলাসপুরের পরিবেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ, হতভম্ব ও শোকাহত। সৈকত সরদার মারা যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রেখেছি।
যাযাদি/ এস