রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাত পোহাইলেই প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলায় ভোট

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  ০৭ মে ২০২৪, ১৯:১৭
রাত পোহাইলেই প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলায় ভোট

রাত পোহাইলেই আগামীকাল ৮মে বুধবার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি এই তিন উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের প্রচার- প্রচারণা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এ তিন উপজেলায় এখন শুধু অপেক্ষা ভোটের। তবে ভোটাররাও বসে নেই তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে কিভাবে বিজয়ী করে আনা যায় তা নিয়ে চলছে নানা আলেচনা। আর প্রার্থীরাও ছুটছিলেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনার জন্য। দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে সিরাজগঞ্জের তিন উপজেলার ভোটের মাঠ। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার ৫জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ইতিমধ্যে একজন প্রার্থী ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যারা ভোটের মাঠে রয়েছেন তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ( আনারস) , জেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ রাশেদ ইউসুফ জুয়েল ( দোয়াত কলম) প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নাছিম রেজা নুর দিপু (মোটরসাইকেল) ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এস এম আহসান হাবীব এহসান ( ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। চেয়ারম্যান পদে এই ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হবে ত্রিমুখী। এদের মধ্যে মোঃ রিয়াজ উদ্দন ও নাছিম রেজা নুর দিপু ভোটের মাঠে পুরানো মুখ হলেও নতুন হিসেবে মোঃ রাশেদ ইউসুফ জুয়েল তরুণ ও যুবক ভোটারদের মধ্যে ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছেন। একারনে লড়াই হবে এই তিনজনের মধ্যেই। তবে কে হবেন চেয়ারম্যান, কে পড়বেন বিজয়ের মালা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে ভোটের ফলাফল পর্যন্ত।

এছাড়া কাজিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান সিরাজী ( আনারস) প্রতীক, কাজিপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা কালীন সভাপতি এবং কাজিপুর উপজেলা আ,লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক গান্ধাইল ইউনিয়নের তিন বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম ( ঘোড়া) প্রতীক ও কাজিপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ( দোয়াত কলম) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তবে ভোটারদের সাথে কথা বলে যতটুকু আভাস পাওয়া গেছে তাতে মূলত লড়াই হবে খলিলুর রহমান সিরাজী ( আনারস) প্রতীক ও আশরাফুল আলম ( ঘোড়া) প্রতীকের মধ্যে। জনশ্রুতি রয়েছে মোঃ খলিলুর রহমান সিরাজী প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ঘনিষ্ট হওয়ায় ২০১২ সাল থেকে বর্তমান সময় কাল পর্যন্ত কাজিপুর উপজেলা আ,লীগের সাধারন সম্পাদকের পদটি দখল করে আছেন। পরবর্তীতে প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের পুত্র বর্তমান এমপি প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের আর্শিবাদপুষ্ট হওয়ার কারণে রাজনীতিতে অদ্যবধি তাঁকে আর পিছু হটতে হয়নি। ২০১৯ সালে আ,লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারও তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে জয়ের ব্যাপারে আাশাবাদী। তবে অনেকেই বলছেন ঘোড়া যদি সঠিকভাবে দৌড়াতে পারে তাহলে খেলা অনেকটাই কঠিন হবে। সহজেই কেউ পার হতে পারবে না।

অপরদিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বেশি আলোচিত বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা, হামলা মামলা, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন, স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল এর মালিকাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান মন্ডল গ্রুপের জিএম বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম এর পিএস ঢাকা বনানী থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাফর হোসেনের ভাই বেলকুচি ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি মীর সিরাজুল ইসলাম (আনারস) ও এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বদিউজ্জামান ফকির

( মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে লড়চ্ছেন। এ উপজেলার তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত লড়াই হবে ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) এবং বদিউজ্জামান ফকির

( মোটরসাইকেল) প্রতীকের মধ্যে।কারন হিসেবে ভোটাররা মনে করছেন সিরাজগঞ্জ -৫ সংসদীয় আসনের এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল এর আশীর্বাদপুষ্ট ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র বেগম আাশানুর বিশ্বাস এর আস্থাভাজন হওয়ায় বদিউজ্জামান ফকির ( মোটরসাইকেল) প্রতীকের মধ্যে তুমুল হাড্ডহাড্ডি বাঘে সিংহে

লড়াই হবে। তবে কে বিজয়ের মালা পরবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এজন্য ভোটের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

এই তিন উপজেলায় ৯ লাখ ৭৮ হাজার ২৭২ জন ভোটার ৩৯০টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে ভোট অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে