ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরি যেন থামছেই না। এবার রেলওয়ের যন্ত্রাংশসহ আটক হয় তিন কর্মচারি। তবে রফাদফায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকালে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ধাপাচারা দেওয়ার চেষ্টা হলেও মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে একটি ভ্যানগাড়িতে করে রেলওয়ের থানার সামনে দিয়ে কিছু ভাঙাচুরা যন্ত্রাংশ নিয়ে যাচ্ছিল রেলওয়ের লোকেসেডে কর্মরত তিন যুবক। এ সময় থানার সমায়ে ডিউটিরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা জীবনদাসসহ তিনজনকে আটক করে মালামালগুলো কোথায় যাবে জানতে চান। এ নিয়ে আরএনবি’র সঙ্গে ওই তিন কর্মচারির কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই তিনজনকেসহ মালামাল আরএনবি চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আরএনবি চীফ আবু সুফিয়ানকে ম্যানেজ করে ছাড়া পায় লোকোসেডের কর্মচারীরা। তবে মালামালগুলো আরএনবি অফিসে রেখে দেয়।
স্থানীয় সূত্রটি আরো জানায়, রেলওয়ের একটি চক্র এর আগেও যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ছাড় পেয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হলে ওই সময়ে আটক লোকোশেডের কর্মচারি মানিক দাস জানান, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজে গিয়ে কিছু ভাঙাচুরা নষ্ট মালামাল আখাউড়ায় নিয়ে এয়েছিলাম। সেগুলো ডাম্পিং স্টেশনে ফেলে দেওয়ার জন্যনিয়ে যাওয়ার সময় আরএনবি সদস্যরা আটক করে। পরে তারা মালামালগুলি নিয়ে যায়।
আখাউড়া আরএনবি’র পরিদর্শক মো. আবু সুফিয়ান ভ‚ঁইয়া রফাদফা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মালামালগুলো উদ্ধারের পর জানতে পারি এগুলো পরিত্যক্ত। সবমিলিয়ে ৬০-৭০ কেজি মালামাল হবে। এগুলো মধ্যে পুরাতন পাইপ, তার, লোহা ইত্যাদি। মালামাল আমাদের কাছে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেসে লোকেসেডের কর্মচারীকে ছেড়ে দিয়েছি।
যাযাদি/এসএস