শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বৃদ্ধের লাশ

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ১০ মে ২০২৪, ১৯:১১
-ফাইল ছবি

বৃদ্ধ স্বামীকে সকালের নাস্তা হিসেবে মুড়ি খেতে দিয়ে স্ত্রী পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন পানি আনতে। পানি নিয়ে ফিরে এসে স্ত্রী দেখতে পান স্বামীর মরদেহ ঘরের পাশে আম গাছে ঝুলে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (১০-মে) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত মুজিবুর রহমান মাদবর(৬৫) নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামের মৃত শামেদ আলী মাদবরের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাড়িতে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকেন না মুজিবুর মাদবর ও আমিরজান দম্পতি। গত কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফিরেন তারা। শুক্রবার সকালে স্বামী মুজিবুর রহমান মাদবরকে সকালের নাস্তা হিসেবে মুড়ি খেতে দিয়ে স্ত্রী আমিরজান দেখতে পান ঘরে খাবার পানি নেই।

এসময় তিনি পানি আনতে পাশের বাড়িতে যান। পানি নিয়ে ফিরে এসে দেখতে পান, স্বামী মুজিবুর রহমান মাদবরের মরদেহ ঘরের কোণে থাকা একটি আম গাছে ঝুলে রয়েছে। এরপর তিনি বাড়ির অন্যান্যদের ডেকে আনেন। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

নিহত মুজিবুর রহমান মাদবরের স্ত্রী আমিরজান বলেন, আমি তাকে মুড়ি খেতে দিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম পানি আনতে। এসে দেখি তার মরদেহ আম গাছে ঝুলে রয়েছে। এরপর বাড়ির অন্যদের ডেকে আনলে সুমন মাদবরসহ অন্যান্যরা আমাকে মেহগনি গাছের সাথে বেধে রাখে। এরপর পুলিশ এসেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন মাদবর বলেন, গতকাল রাতে মুজিবুর রহমান মাদবর তার স্ত্রী আমিরজান ও মেয়েদের সাথে ঝগড়া করেছেন। সকালে এমন ঘটনা ঘটার পরে আমিরজান বেগম স্বাভাবিক ছিলেন। ঘটনার পরে তার নাতিসহ অন্যরা পালিয়ে চলে যায়। এসময় আমিরজান চলে যেতে চাইলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি আপনি কোথায় যাচ্ছেন? এরপর সে চলে যেতে চাইলে আমি তার হাতে ধরে আটকে রেখেছি। তাকে আমি বেধে রাখিনি।

নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমিসহ আমার ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়েছি। গলায় দড়িসহ আমগাছ থেকে বৃদ্ধ মুজিবুর রহমান মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সুরতহালে নিহতের শরীরে কোনো আঘাদের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে