নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দুইশ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় দরবেশ বাজারে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান নিজে উপস্থিত থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে নগদ ছয় হাজার টাকা করে দুইশ পরিবারকে সর্বমোট ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা তুলে দেন।
স্টার্ট বাংলাদেশের সহায়তায় হাতিয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে জরুরি মানবিক সাড়া প্রদান প্রকল্পে আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পার্টিসেপেটারি রিসার্চ এন্ড একশন নেটওয়ার্ক-প্রান ও অ্যাকশন এইড এ আয়োজন করে।
পার্টিসেপেটারি রিসার্চ এন্ড একশন নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় আজ ২০০ জনকে ৬ হাজার টাকা করে এবং ঘরে প্রতিবন্ধী আছে এমন ৭ জনকে দুই হাজার মোটসহ ১২ লাখ ১৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে আগামীতেও এমন সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে ৭১৩টি পরিবারে ৪৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে হাতিয়ার হরনি, চানন্দী ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে অনেক মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছে। আমরা সরকারিভাবে দুর্গতদের মাঝে সহায়তা অব্যাহত রেখেছি। বেসরকারিভাবে প্রাণসহ বিভন্ন উন্নয়ন সংস্থাও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করে যা
আজ সরেজমিনে মানুষের সাথে কথা বললাম ও নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলাম। ভাঙন রোধে চানন্দী ইউনিয়নের পাঁচ কিলোমিটার ব্লক বাধ হবে। এ এলাকার জন্য একটি বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এসময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. শাহাদাত হোসেন, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার মো. হামিদুল ইসলাম, জিহান সোহানা নাবি, চানন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজহার উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাদল, নোয়াখালী প্রেসক্লাবেরর সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জুসহ চানন্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এসএম