সারাদেশে একযোগে চলছে শাটডাউন। কোটাবিরোধী আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে মহাসড়কের ওপর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র -ছাত্রীরা অবরোধ করে। এসময় বিক্ষোভকারীরা কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নানা শ্লোগান দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা অবস্থান নেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের ও ঢাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়।
এসময় কোটা সংস্করণের দাবীতে শ্লোগান দিয়ে মহাসড়কের ওপর কয়েক হাজার ছাত্র ছাত্রী শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রথমে শিমরাইল -আদমজী সড়কে অবস্থান নেয়। এসময় হোন্ডাআরোহী দুই ছাত্রলীগ নেতা আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি অবস্থান নিলে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
তবে ২ ছাত্রের নাম জানা যায়নি। সিদ্ধিরগঞ্জের চারপাশ থেকে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের অবস্থান নিলে পরে পুলিশ মহাসড়কের একপাশে অবস্থান নেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দাবি আদায়ে জন্য নেমেছি। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করার জন্য নয়। আমরা কাউকে ভয় পাই না। আমাদের ভাইয়ের রক্ত ঝরেছে আমরা তার বিচার চাই।
অপরদিকে বিক্ষোভকারীরা শ্লোগান দিলে সিদ্ধিরগঞ্জc থানা আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠন নেতা কর্মীরা পিছু হঠেন।
এসময় মহাসড়কের অবস্থানরত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক মোটর সাইকেল আগুন দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি মোকাবেলা করে শিথিল রাখতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
যাযাদি/ এম