ফেনীর পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া শমসের গাজি এলাকা ও ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর বাঁধে ১০টি স্থানে ভাঙন লোকালয়ে ঢুকছে পানি, ১৫টি গ্রাম প্লাবিত।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পানির চাপে ফেনীর মুহুরী নদীর পানি আবারো বিপদসীমার ২৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সম্প্রতি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই আবারো বন্যার মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত বানবাসী মানুষ। ফুলগাজী বাজারেও হাঁটু পরিমান পানি উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে। ভারত থেকে নেমে আসার উজানের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে মুহুরী কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরশুরামের শালধর এলাকায় পাহাড়ী পানির চাপে মুহুরী নদীর পূর্বের ভাঙনকৃত এলাকায় আবারো ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

শুক্রবার ভোরে এই স্থানে ভেঙে পানি ঢুকতে দেখা যায়। পরশুরামের বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের সাতকুচিয়া শমসের গাজী দক্ষিণ পাশে সাতকুচিয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে সাতকুচিয়া লোকালয়ে পানি ঢুকছে।

মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের দুই গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা : আহত ৩

এছাড়াও মুহুরী নদীর বাঁধে টেটেশ্বর, সত্যনগর ও মির্জানগর এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। স্রোতের বেগে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা পরবর্তী ভাঙনকৃত স্থানগুলো নামমাত্র মেরামত করায় আবারো একই স্থানে বার বার ভাঙ্নের সৃষ্টি হচ্ছে । প্রত্যেক বছরই ৩/৪বার ফুলগাজী ও পরশুরামের মানুষ নদীর বাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎষ খামার ও বীচতলা। বন্যা পরবর্তী কৃষরা নতুন করে আমনের বীজ লাগানোর পরই আবারো তা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।

গত জুন মাসে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুহুরী নদীর সংস্কার ও স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ২ মাসের মধ্যে আবারো বন্যা হওয়ায় অনেকটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মানের দাবী করে আসছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। শমসের গাজী দক্ষিণ পাশে সাতকুচিয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে সাতকুচিয়া লোকালয়ে পানি ঢুকছে।

যাযাদি/ এসএম