সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে শামিম মিয়া (৩০ ) নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার বংশিকুন্ডা উওর ইউনিয়নের আন্তরপুর গ্রামের বাসিন্দা শামীমের বাবা বাবুল মিয়া বাদি হয়ে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
মামালা সুত্রে জানাগেছে, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বংশিকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের আন্তরপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী শামিম মিয়ার বাড়িতে বংশিকুন্ডা উওর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আর্শরাফ আলী ও তার ছেলে রফিজ আহমেদ রনির নেতৃত্বে ৩০-৩৫ সন্ত্রাসী রামদাসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা ও লুট-পাটের ঘটনাটি ঘটায়।
সন্ত্রাসীরা এ সময় শামিম মিয়ার বসত ঘরে ঢুকে ভেতরে থাকা বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং ওয়ার্ড ড্রপের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারেরা জানান, আন্তরপুর গ্রামের শামিম মিয়া ও পাশের মাটিয়াবন গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য আশরাফ আলীকে ১৩ লাখ টাকা হাওলাত দেয় শামীম। বেশ কিছু দিন যাবত শামীম আশারাফ আলীকে টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। তারা দুইজনের মধ্যে টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার রাতে আশরাফ আলী ও তার ছেলে রফিজ আহমেদ রনির নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যবসায়ী শামীম মিয়ার বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করেছে। তবে বসতঘরে ঢুকে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি এ ঘটনার সুষ্টু তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আশরাফ আলী বলেন, মূলত এলাকায় কিছু গরু চুরি হয়েছে সেই সংবাদের ভিত্তিতে এলাকার মানুষ ওইখানে গিয়েছিল। পরে নাকি দুই পক্ষের মধ্যে দাওয়া পাল্টা দেওয়া হয়েছে আমি শুনেছি। আমি ঘটনার সাথে জড়িত নয় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।
বাদিপক্ষের আইনজীবী আরফান আলী বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সঠিক তদন্তের জন্য মধ্যনগর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মধ্যনগর থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, এখনো থানায় মামলাটি আসে নাই । অভিযোগটি পেলে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জামা দেওয়া হবে।
যাযাদি/এসএস