চাঁদপুরে গত কয়েকদিন থেমে তেমে বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত। তবে এখন শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। একই সাথে বাতাসের তীব্রতাও বেড়েছে এবং পদ্মা-মেঘনা নদীর ঢেউ। টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাসা বাড়ি থেকে বের হয়নি। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, কিরশা চালক ও শ্রমিকরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সকাল ১০টার পরে খুলেছে। অনেকটা ঘর বন্দি হয়ে পড়েছে লোকজন।
সদর উপজেলার অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভাড়া নিয়ে রামপুর ইউনিয়নের রাড়িচর এসেছি। এখন বৃষ্টির কারণে কোন দিকে যেতে পারছি না। অনেক অটোরিকশা চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছে না।
সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় এর আগের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিছুদিন বৃষ্টি কম থাকায় পানি বাড়ি ঘর থেকে নেমে যায়। এখন আবার পূর্বের অবস্থা তৈরী হচ্ছে। আগের বার ফসল ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শহরের পুরাণ বাজার বাণিজ্যিক এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল আহসান বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। রিকশা ও অটোবাইকের সংখ্যা খুবই কম।
একই এলাকার বাসিন্দা শেখ আল মামুন বলেন, টানা বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতায় নদীতে ঢেউ বেড়েছে। পানি বাড়েনি। তবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় জেলেরা নদীতে নামেনি। পুরো নদীই ফাঁকা।
শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, গত রাত থেকে টানা বৃষ্টি। সকালে দোকান খুলেছি দেরিতে। কারণ ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। একান্ত দরকার ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। দুপুর ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে শুরু করেছে।
এদিকে, গত এক সপ্তাহের অধিক চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। আরও করুন অবস্থা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে ৭-৮ঘন্টা।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব বলেন, শুক্রবার রাত ১২টা হতে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। আজকে চাঁদপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।
যাযাদি/ এসএম