ভোলার বোরহানউদ্দিনের কুতুবা ইউনিয়নে শিশু ইসরাক(৪)হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসী।
সোমবার (৩০) ডিসেম্বর সকালে বোরহানউদ্দিন থানার সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার সর্বস্তরের জনগন। এতে এলাকার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামি বশীর গংদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। গত ২১ নভেম্বর ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ির পার্শ্ববর্তী কলা বাগান থেকে ইসরাক হোসেন (৪) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
বক্তারা আরো বলেন, ইতিমধ্যে ঘাতক বশীর স্থানীয়দের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বক্তারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ইসরাক সৌদি প্রবাসী শেখ ফরিদের একমাত্র ছেলে বলে জানা গেছে। ফরিদ-ইয়ানুরের দাম্পত্য জীবনের সতের বছরের মাথায় এসে তাঁরা ওই সন্তানের মুখ দেখে।
নিহত ইশরাক হোসেনের মামা নয়ন জানান, গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ভাগ্নেকে খুঁজে পাওয়া যায়নি পরে আমরাসহ ওদের বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজির পর ওদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে এক মহিলা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরে স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইশরাকের মা ইয়ানুর বেগম মানববন্ধনে মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা মেহের অসীম দাশের বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে তাঁকে থানায় ডেকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(লালমোহন সার্কেল)বাবুল আখতার জানান, শিশু ইসরাক হত্যা ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় ইসরাকের মা ইয়ানুর বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ওই ঘটনায় ৩ জন সন্দেহভাজন আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহের অসীম দাশের বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাযাদি/ এম