বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার ( ৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ কে.এম.রাফিউল ইসলাম। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় প্যাটার্ন ভিত্তিক আবাদ (সরিষা-বোরো-আমন) বাস্তবায়ন প্রদর্শনী উপলক্ষে সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি রামনগর ব্লক রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বিন খালিদ।
এসময় কৃষক আতাউর রহমান বক্তব্য বলেন, বারি ১৪ সরিষা চাষ করে আমরা এখন লাভবান হচ্ছি। ধান কাটার পরেই একবার জমি চাষ করেই সরিষা বুনে দেয় আড়াই মাসের ভিতর ফলন ঘরে চলে আসে তেমন কোনও খরচ নাই বললেই চলে। এছাড়া কৃষি অফিস থেকে জানতে পারছি সরিষা চাষ করলে প্রাকৃতিক ভাবে এক ধরনের সার তৈরী হয় এর কারনে পরবর্তী ফসলে ইউরিয়া সার জমিতে কম দিতে হয়।উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষি অফিস থেকে আমরা সকল ধরনের কারিগরি সহযোগিতা পেয়ে থাকি।
মাঠ দিবসে কৃষিবিদ কে.এম. রাফিউল ইসলাম তার বক্তব্য বলেন, দেশে ভোজ্য তেলের ৯০ ভাগ আমদানী করতে হয়। প্রতি বছরে হাজার কোটি টাকার তেল ও তেল বীজ আমদানী করতে হয়। আমদানী নির্ভরতা কমিয়ে আনতে এবং স্বল্প চাষে স্বল্প দিনে তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই। এ জাতীয় ফসলে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়া সহ কৃষকরা লাভবান হয়। কারন পরবর্তী ফসল বরো আবাদে ইউরিয়া খুবি কম পরিমানে লাগে জমিতে।
এ মাঠ দিবসে রামনগর ব্লকের কৃষক মো. বেলাল হোসেন, ফুল বাবু, লিপি আক্তার, আতাউর রহমান, শাবানা বেগমসহ এলাকার সকল কৃষক ও গণমাণ্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এস