মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, শিক্ষিত যুবকরাও মাছ ধরার কাজে নদীতে যেতে পারেন। এতে অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিভাইসের সঠিক ব্যবহার হবে। এবং গভীর সমুদ্রে জেলেরা সঠিক দিকনির্দেশনা প্রাপ্তির মাধ্যমে নিরাপদে মাছ ধরতে পারবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভোলার মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের 'দক্ষিণ চরগোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম সংগঠন'র সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মৎস্যজীবী জেলেদের নিবন্ধনের তালিকায় অনেক অমৎস্যজীবী আছে। তাই তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। প্রকৃত জেলেরাই তালিকায় স্থান পাবেন। এবং প্রকৃত জেলেরাই সরকারি সুযোগ সুবিধা পাবেন।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালিন সময়ে জেলেদের নামে বরাদ্দের চাল এবছর আরো বেশি দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। যেমন ২৫ কেজির জায়গায় ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে নিষেধাজ্ঞাকালিন সময়ে জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল শুরুতেই দেওয়া হবে।
'দক্ষিণ চরগোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম সংগঠন'র সদস্যদের শিক্ষিত সন্তানদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আখতার জাহান, মনপুরা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লিখন বনিক, মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আহসান কবীর প্রমূখ।
উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন'র উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন সহ মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলে ও বিভিন্ন পেশাজীবি নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপজেলার নতুন তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে লাইফ বয়া, জ্যাকেট, টর্চলাইটসহ বিভিন্ন জেলে উপকরন বিতরন করা হয়।
এর পূর্বে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক সরকারি সফরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে মনপুরায় আসেন। এসে তিনি উপজেলার কলাতলি ইউনিয়নের ঢালচরে জেলেদের সাথে একটি পৃথক মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। এবং রাতে তিনি মনপুরা সরকারি ডাকবাংলোতে রাত্রিযাপন করেন।
যাযাদি/ এমএস