রংপুরের মিঠাপুকুরে বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। রাস্তা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই শিক্ষার্থী সহ পরিবারটি। রাস্তা বন্ধ করার পর অভিযুক্তরা রাস্তাটিতে আমের গাছ রোপন করেছেন।
মিঠাপুকুর উপজেলার ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের মরাহাটি সংলগ্ন বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় একমাসের অধিক সময় ধরে রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মরাহাটি বাজার সংলগ্ন বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামের আবু ফরহাত মিয়া এবং জিনাত রেহেনা দম্পতি একই মৌজায় ২০১২ সালে ৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর আধাপাকা টিনসেডের বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় ১যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন গত (২-মার্চ) বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, জাকারুল ইসলাম, পূর্ব শত্রুতার জেরে ফরহাত মিয়ার বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি তাদের নিজেদের দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এতে চরম বিপাকে পড়ে পরিবারটি।
অভিযুক্তরা এমন ভাবে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয় যাতে ভুক্তভোগীরা বাড়ি থেকে বের হতে এবং বাহির থেকে বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, শাহজাহান আলীকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাঁশের বেড়াটি সরিয়ে দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান চলে যাওয়ার পরক্ষণেই রাস্তাটি আবারো বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান, শাহজাহান আলী।
ভুক্তভোগী রেহেনা জিনাত বলেন, মহিদুল আমাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে চার লক্ষ টাকা চাচ্ছে। আমার স্বামী একজন পোল্ট্রি খামারের সাধারণ কর্মচারী। কিভাবে আমরা এই টাকা দেবো। আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ নেই!
অভিযুক্ত মহিদুল ইসলাম বলেন, মানবিক কারনে আমরা তাদের হাঁটার জায়গা দিয়েছিলাম। আমাদের দু-শতাংশ জায়গা পতিত পড়েছিল। আমরা এখনো তাকে রাস্তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। তবে তার যেটুকু রাস্তা প্রয়োজন সেটুকু ক্রয় করতে হবে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিলো। কাগজপত্র সহ উভয়কে থানায় ডাকানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা থানায় আসেনি।
যাযাদি/ এসএম