মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দীর্ঘদিন থেকে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা সরকারি ৫টি বিল ও পুকুর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। এরফলে কয়েক লক্ষ টাকা জমা হচ্ছে সরকারি কোষাগারে। গত ৫ মাসে পৃথক অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন। এগুলো হলো- বিন্দারাণির দিঘি, হ্যালিপ্যাড পুকুর, কাটুয়া বিল, ভিপি পুকর ও ছকাপন পুকুর।
জানা যায়, উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নে ৭ একরের বিন্দারাণির দিঘিটি ২০১৪ সাল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পক্ষ বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমার নামে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ভোগ করে আসছিল। এই দিঘি নিয়ে দুই পক্ষের মামলা থাকলেও রাতের আধারে মিলেমিশে দুই পক্ষই মাছ লুট করেছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দিঘিটি সরকারের দখলে এনে ইজারা দেয় প্রশাসন। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবার সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসলো বিন্দারাণির দিঘি।
কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া এলাকায় অবস্থিত ২ একর আয়তনের হ্যালিপ্যাড নামের পুকুরটি স্থানীয় রাজনৈতিক একটা মহলের যোগসাজশে কখনোই সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। গত ৫ মার্চ এই পুকুরটি দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের শশারকান্দি মৌজায় অবস্থিত ২৬ একর আয়তনের কাটুয়া বিল থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মৎস্যজীবী মহল প্রতিবছর মাছ লুট করে নিতো। কিন্তু সরকারি কোসাগারে দেওয়া হতনা কোন রাজস্ব। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সরেজমিনে পরিদর্শন, রেকর্ডপত্র যাচাই করে গত ২৫ মাচ কাটুয়া বিলটিকে সরকারের রেজিস্ট্রারভুক্ত করা হয়।
এছাড়াও রাউৎগাও ইউনিয়নের নর্তন মৌজায় সরকারি খতিয়ানভুক্ত ১.১৭ একরের ভিপি পুকরটি গত ৬ এপ্রিল এবং ৭ এপ্রিল ছকাপন বাজার সংলগ্ন ৩৬ শতকের একটি পুকুর উদ্ধার করে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, মাননীয় জেলা প্রশাসকের স্পষ্ট নির্দেশনায় সরকারি পুকুর, বিল, জলাশয়সহ সরকারি সম্পত্তি পুনরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫টি জলাশয় ও পুকুর উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এরমধ্যে বিন্দারাণি দিঘি ও হ্যালিপেড পুকুর ইজারার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোর ইজারাও প্রক্রিয়াধীন। অবৈধ দখলমুক্ত করায় এখন থেকে সরকারের কোষাগারে প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব জমা হবে।
যাযাদি/ এমএস