সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টি পানির সংরক্ষণে একুইফার রিচার্জ প্রকল্প

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
  ০৪ মে ২০২৫, ২০:৪৫
বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টি পানির সংরক্ষণে একুইফার রিচার্জ প্রকল্প
ছবি: যায়যায়দিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর বৃদ্ধি করবে ম্যানেজড একুইফার রিচার্জ (এমএআর) কার্যক্রম। ঘরের ছাদে কিংবা টিনের ছাইনিতে পড়া বৃষ্টির পানি ফিলট্রেশন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বোরহোলে ফেলা হবে। এরফলে বৃষ্টির পানি গড়িয়ে ড্রেনে বা জলাশয়ে কিংবা খাল বিলে না গিয়ে সরাসরি বোরহোলে পড়বে এবং ভ‚গর্ভের পানির স্তর পুনর্ভরণ হবে।

খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এবং ভ‚গর্ভস্থ পানির স্তর উন্নয়নের লক্ষ্যে এক্সটেনডেড কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইসিসিসিপি)-ড্রউট প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটি।

রোববার (৪ মে) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে এই কাজের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে মোট ৪০টি এমএআর স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছমিনা খাতুন, সহকারী কমিশনার জাহিদ হাসান, ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম লুৎফুল হাসান।

অনুষ্ঠানে প্রয়াসের পরিচালক এবং ইসিসিসিপি ড্রাউট প্রকল্পের ফোকাল পারসন পঙ্কজ কুমার সরকার স্বাগত বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারি পরিচালক আব্দুস সালাম। এসময় ইসিসিসিপি ড্রাউট প্রকল্প সমন্বয়কারী বকুল কুমার ঘোষ, ঝিলিম ইউনিয়নের প্রশাসিনক কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি পালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্পটিতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড জিসিপি ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা প্রতিরোধে বৃষ্টির পানি ভ‚গর্ভে সংরক্ষণের মাধ্যমে পানির স্তর বাড়ানো। এমএআর স্থাপনার পাশাপাশি খাল ও পুকুর খননের মাধ্যমে ভ‚-উপরিস্থ পানির ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং খরা সহনশীল ফসল ও ফল চাষে পানি ব্যবস্থাপনায় কার্যকর অবদান রাখা হচ্ছে।

এই প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অতিথিবৃন্দ।

উল্লেখ্য, ভূগর্ভের পানির স্তর দিনদিন ভয়াবহারে নিচে নেমে যাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে এবার ঝিলিম ইউনিয়নসহ সদর, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করে বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে