তিন লক্ষ টাকা বিনিময়ে ৬লক্ষ টাকা দিলেও পরিশোধ হয়নি সুদ খোরের সুদের টাকা। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঘুরকা ইউনিয়নের দশানী পাড়ার সুদের ব্যাবসায়ী মোরশেদ ও তার মামা আলমের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
গত বৃহস্পতিবার (১মে) সলঙ্গা বাজারের মাদ্রাসা মোড়ের ফিড ব্যাবসায়ী সিদ্দিক জামাল তার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী বলেন,
গত ২বছর আগে আমার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সুদ কারবারী মোরশেদ ও আলমের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা সুদ হিসাবে নিলে সেই তিন লক্ষ টাকার মধ্যে ৬০হাজার টাকা এক মাসের সুদ অগ্রীম রেখে বাকি দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা তারা আমাকে বুঝিয়ে দেন। এবং এই টাকার সিকিউরিটি হিসাবে আমার কাছ থেকে দুইটি স্বাক্ষরিত ব্লাংক
ব্যাংক চেক ও তিনটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন।পরবর্তীতে তার তিন মাস পরেই তার সুদের টাকা সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার পরে আমার জমা রাখা চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চাইলে তিনি বাসায় আছে, পরে দিবে বলে জানান।
পরবর্তীতে আমি কোন উপায়ান্তর না দেখে চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ২৯.০৪.২৫ ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্যাট কোর্টে ফৌজদারি কার্যবিধি ৯৮ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। এবং আপনাদের লিখনির মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে ভুক্তভোগীর চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের মামলা করার প্রতিবাদে শনিবার (৩মে) সলঙ্গা বাজারে একটি পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন সুদ কারবারি মোরশেদ ও তার মামা আলম। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির উৎস কি জানতে চাইলে তিনি এর কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে সুদ ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও ও অনলাইন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার হলে সেখানে সুদি কারবারি আলম ও মোরশেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ক্ষু্দ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বলেন, আলম ও তার মামা মোরশেদ এলাকার চিহ্নিত সুদ কারবারী তারা ইতিপূর্বে সলঙ্গা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীকে সুদের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় ও নিঃশ্ব করে দিয়েছেন।
এদিকে সচেতন মহল এই সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।