গাজীপুরের শ্রীপুরে এক রাতে ৩ কৃষকের ৭টি গরু চুরি হয়েছে। গভীর রাতে পৃথক গোয়াল ঘর থেকে ওই গরুগুলো চুরি করে নিয়ে চোরেরা। একই এলাকায় পরপর চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
বুধবার ২১ মে ভোর রাতের দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লোহাগাছ গ্রামের সাতরাস্তা ও বহেরাতলী এলাকায় এসব চুরির ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন, পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে আসাদ মিয়া, একই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে খোরশেদ মিয়া ও রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে কাঞ্চন মিয়া। ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের সাতরাস্তা মোড় এলাকার কৃষক খোরশেদ মিয়ার লাল রঙের একটি দুধের গাভী, কালো রঙের একটি বকনা ও ধূসর রংয়ের একটি বাছুর চুরি হয়।
গোয়াল ঘরের সিটকারি কেটে গরুগুলো নিয়ে যায় চোর। যেগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য দুই লাখ টাকা।
এদিকে, প্রতিবেশী আসাদ মিয়ার লাল রঙের একটি গাভীন গাভী ও লাল রঙের একটি বকনা বাছুর গোয়াল ঘর থেকে চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল।
যে দুটির বাজার মূল্য ১লাখ ৫০ হাজার টাকা। অন্যদিকে, একই রাতে লোহাগাছ বহেরাতুলী এলাকার কাঞ্চন মিয়ার গেট ও গোয়াল ঘরের তালা কেটে দুটি লাল রঙের গরু চুরি হয়।
যেগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওইসব গোয়াল ঘরের তালা কেটে গরুগুলো চুরি করে অজ্ঞাত চোরেরা।
চুরির পরপরই খোঁজ পেলেও চুরের গাড়ি ধরতে পারেনি বলে জানান স্থানীয়রা।
গরুর মালিক কৃষক আসাদ মিয়া বলেন,'রাত সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ গাড়ির আওয়াজে জেগে যাই। এরপর গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখি গরুগুলো নেই।
পরে ডাক চিৎকারে দিলে আশপাশের লোকজন ছুটাছুটি করে রাস্তায় গাড়ির শব্দ পায়। ছোট ভাই রাহাদসহ কয়েকজন রাজাবাড়ি সড়কে ছুটাছুটি করেও কোনো সন্ধান পাইনি।'
অপর গরুর মালিক কাঞ্চন মিয়া বলেন,' গভীর রাত ৩টার আগেও আমি গরুগুলো দেখে এসেছি। এরপর থেকে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত সময়ে আমার গেটের তালা কেটে গরুগুলো চুরি হয়।'
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক মিয়া বলেন, এলাকায় গরু চুরি বেড়ে যাওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক কৃষক রাত জেগে তাঁদের গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন।
এছাড়াও বাসাবাড়িতে নিয়মিত চুরি হচ্ছে। বাদ পড়ছেনা দোকানপাটও। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কি দায়িত্ব পালন করে জনগণের মনে এখন এই প্রশ্ন।'
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন,' গরু চুরির ঘটনায় কেউ থানায় অবগত করেনি। কৃষকদের অভিযোগ পেলে গরু উদ্ধার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। '
প্রসঙ্গত, গত ২মাসে ওই গ্রামে ৩০টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্তে গেলেও কোনো গরুর সন্ধান দিতে পারেনি। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কৃষক ও খামারিরা।