শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্রীপুরে প্রায় ২শ কেজির তৈলসহ ড্রাম নিয়ে গেছে চোর

শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি
  ২৪ মে ২০২৫, ১৪:৫৮
শ্রীপুরে প্রায় ২শ কেজির তৈলসহ ড্রাম নিয়ে গেছে চোর
ছবি : যায়যায়দিন

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সদর এলাকার বাজারে আবারও চুরির ঘটনা ঘটেছে। এবার একটি মুদী দোকান থেকে ১'শ ৮৫ কেজি সয়াবিন তৈলসহ ড্রাম নিয়ে গেছে চোরেরা। এরআগে গতকাল একটি মার্কেটের পাশাপাশি ৫ দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। একই বাজারে পরপর চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাজারের ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২৪ মে) ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শ্রীপুর মধ্য বাজার ডিবি রোডের কেশব স্টোর নামক দোকানে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

1

ভুক্তভোগী দোকানী কমল চন্দ্র পৌর এলাকার শ্রীপুর গ্রামের কেশব চন্দ্রের ছেলে। তিনি শ্রীপুর বাজার পশু হাসপাতাল সড়কের পাশে মুদী দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন।

ভুক্তভোগী দোকানীর দেওয়া তথ্য ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে দোকান বন্ধ করেন কমল চন্দ্র। এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে দোকানের পিছনেই বাসায় ঘুমাতে যান তিনি। সকালে দোকান খুলে দেখেন সামনে রাখা ১'শ ৮৫ কেজি সয়াবিন তৈলসহ ড্রাম নেই। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেন যে, শনিবার ভোর রাত ৪ টা ৩৮ মিনিটে ৩জন লোক ওই তৈলের ড্রাম একটি পিকাপে তুলে নিচ্ছেন। এসময় অন্য ড্রাম গুলো নেওয়ার চেষ্টা করলেও সময়ের অভাবে নিতে পারেনি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর বাজার নিরাপত্তা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, 'তৈল চুরির ঘটনায় থানায় খবর দেওয়া হয়েছে। বাজারের দোকানের তুলনায় নিরাপত্তা প্রহরীদের সংখ্যা কম। এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। এছাড়াও চোর ধরতে পুলিশের সাথে আমরা চেষ্টা করছি।'

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন,' শ্রীপুর বাজারের চুরির ঘটনায় সভাপতিকে ফোন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও দোকানীদের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে চুরি বন্ধ করা যায় সেটার একটা নির্দেশনা নেওয়া হবে।'

প্রসঙ্গত, গতকাল গাজীপুরের শ্রীপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেটে অবস্থিত ইদ্রিস মিলিটারির কসমেটিকের দোকানের টিনের ছাউনি কেটে দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ ২১ হাজার টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। একই অবস্থায় পাশের দোকানী মানিক মিয়ার ইলেকট্রনিকস দোকানের ইলেকট্রনিক মাল নিয়ে যায়। পাশের দোকানী রাজিব মিয়ার টেইলারিংয়ের দোকানে রাখা কাপড় দিয়ে যায়। পাশের হেলাল উদ্দিনের টিউবওয়েলের দোকানের তার ও পাইপ নিয়ে যায়। একই স্থানের আল আমিনের মোটরসাইকেল গ্যারেজের মবিলসহ মাল ও মনির হোসেনের মুদি দোকানের টিনের ছাউনি কেটে ভেতরে ঢুকে মাল নিয়ে যায়।

গত কয়েকদিন আগে একই বাজরের আরফান মিয়ার ফেক্সিলোড লোডের দোকানের ১৭টি মোবাইল ও নগদ টাকা, মানিক ইলেকট্রনিকস দোকানের মালামাল,মনির হোসেনের মোবাইল, সোহেল মিয়ার সিগারেট ও মালামাল, থানার মোড়ের আমানের দোকানের মালামাল, খন্দকার মাসুদ মিয়ার মোবাইল সামগ্রী চুরি হয়। এসব ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী দোকানীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে