পাবনার ঈশ্বরদীতে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় নবজাতক মৃত্যুর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মৃত নবজাতকের পরিবার ও আত্মীয় স্বজন।
নূরজাহান বেগম তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার গর্ভবতী পুত্রবধূকে চিকিৎসার জন্য আকলিমা ক্লিনিকে ডা. রাবেয়ার কাছে আনলে তিনি তাকে ভুল চিকিৎসা দেন। তার ভুভ‚ল চিকিৎসায় আমার পুত্রবধূর গর্ভের সন্তান মারা গেছে। আমরা এই ডাক্তারের বিচার চাই।’
রাজীব পাটোয়ারী বলেন, ‘এই ক্লিনিক মানুষ মারার কল হিসেবে ঈশ্বরদীতে সুনাম অর্জন করেছে। কেননা এই ক্লিনিকে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ জন করে প্রসুতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়। তাই এই প্রতিষ্ঠান অনতিবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।’
ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মাহমুদুল ইসলাম শাওন বলেন, ‘ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় এই ক্লিনিকে। কারণ এখানকার সকল ব্যবস্থাই খারাপ। তাই আমরা সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই এই ক্লিনিকের সকল কার্যক্রম আজ থেকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক।’
জানতে চাইলে ক্লিনিকের ম্যানেজার নূরুর ইসলাম খান বলেন, যে সমস্ত রোগী একাধিক সমস্যা নিয়ে এখানে আসতেন তাদের মধ্যে দুই-একজনের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আকলিমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার রাবেয়া বোসরী রোজী বলেন, ভুল চিকিৎসায় এই ক্লিনিকে তার হাতে কোন প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যু হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ স ম আব্দুন নুর বলেন, এই বিষয়ে ফারুক নামে এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
পাবনা সিভিল সার্জন মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আলী এহেসান বিজয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আকলিমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের স্বত্ত¡াধিকারী ডাক্তার হোসনে আরা জলি বলেন, আকলিমা ক্লিনিক একটি অবকাঠামো। অবকাঠামোর তো কোন ভুল হতে পারে না। চিকিৎসক যদি কোন ভুল করে থাকে, তা তদন্তে প্রমানিত হলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডাক্তারের বিরুদ্ধে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।