কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর ও নিকলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদীরক্ষা বাঁধ প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২০২৫ সনের ৩০ জুন পর্যন্ত ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে মতিন কনস্ট্রাকশনের ৪টি নদী রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের মধ্যে বাজিতপুরের আছানপুরে ১টি, বলিয়ারদী ইউনিয়নের শাহপুরে ১টি, নিকলী উপজেলার ছাতিরচরে ১টি ও শিংপুর ইউনিয়নের নদীরক্ষা বাঁধ প্রকল্পের ৯৫ ভাগ কাজ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এর মধ্যে বাজিতপুর উপজেলার শাহপুর নদীরক্ষা বাঁধ প্রকল্পের মতিন কনস্ট্রাকশনের সাথে অন্য একটি কোম্পানির নদী রক্ষা বাঁধের প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আছানপুরে দুটির কাজ নামে মাত্র চলছে। এদিকে ছাতিরচরে ৩টির কাজ গড়ে ৬৫ ভাগ ও শিংপুর ইউনিয়নের নদীর ঐ পাড়ে ৪০-৪৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। জানা যায়, যদিও এসব প্রকল্পের কাজ মাত্র তাদের হাতে এক মাস সময় রয়েছে। তথাপি এসব প্রকল্পের মালিকরা কাজের দিকে কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না বলে নদীর পাড়ের ভাঙন কবলিত মানুষের অভিযোগ। গত শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ছাতিরচর ইউনিয়নের ৫টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি প্রকল্পেরই অবস্থা নাজুক।
কিন্তু অর্থাভাবের কারণে তাদের কাজের প্রতি কোনো মনোযোগ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও গত শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ সহ টাস্ক ফোর্স এসে ছাতিরচর ও শিংপুর ইউনিয়নে এসব নদী রক্ষা বাঁধের প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কোম্পানির কাজের গতি বিধি পরিলক্ষিত করে গেছেন। এসব নদীর পাড়ের মানুষেরা বলেন, এ বছর যদি বন্যা হয় তাহলে যেগুলোর কাজ অসমাপ্ত রয়েছে এবং কাজ করেছে সেটিও পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদেরও দূর্ভোগের কোনো সীমা থাকবে না।